গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসই’র প্রধান সূচকে যোগ হয়েছিলো ১৩৩ পয়েন্ট। চলতি সপ্তাহেও পুঁজিবাজারের উর্ধগতি অব্যাহত রয়েছে।
ঈদুল আজহার ছুটির পর প্রথম কার্যদিবস সোমবার ডিএসই-এক্স বাড়ে ৫৭ পয়েন্ট। লেনদেনও ছুটি শুরুর আগেরদিনের তুলনায় ৯২ কোটি টাকা বেশি ছিলো। সোমবার হাতবদল হয় ৬শ’ ৭২ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। মঙ্গলবারও সূচক ও লেনদেনে চাঙ্গাভাব দেখা যায়।
এদিন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচকে যোগ হয়েছে ২৭ পয়েন্ট। সূচক অবস্থান করছে ৪ হাজার ২শ’ ৯৯ পয়েন্টে। লেনদেন হয় ৬শ’ ৭৬ কোটি টাকার শেয়ার।
অন্যান্য সূচকও গত সাত কার্যদিবসে অনেকটাই বেড়েছে। বেড়েছে দাম বৃদ্ধি পাওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের সংখ্যাও।
মঙ্গলবার লেনদেনের শীর্ষে থাকা শেয়ারের মধ্যে আছে- পাইওনিয়ার ইন্সুরেন্স, বেক্সিমকো ফার্মা, স্কয়ার ফার্মা, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, গ্রামীণফোন, ইন্দো-বাংলা ফার্মা, অ্যাকটিভ ফাইন, কেপিসিএল, ইস্টার্ন ইন্সুরেন্স ও সিলকোফার্মা।
অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল- ইসলাম বিএসইসি’র চেয়ারম্যান এবং নতুন তিনজন কমিশনার যোগ দেয়ার পরই বাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়।
বিএসইসির নতুন পর্ষদ এরইমধ্যে শেয়ারের দাম কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তালিকাভুক্ত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের কয়েক কোটি টাকার জরিমানা করে। দুর্বলতা খুঁজে পাওয়ায় দু’টি প্রতিষ্ঠানের আইপিও আবেদন বাতিল করে।
এছাড়া, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের এককভাবে ২ শতাংশ ও সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারনের নীতি বাস্তবায়নে আল্টিমেটাম দিয়েছে কমিশন। এসব উদ্যোগ বিএসইসি’র প্রতি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়িয়েছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, করোনার কারণে চলা দীর্ঘ ছুটির পর অর্থনীতিও কিছুটা সচল হতে শুরু করায় পুঁজিবাজারমুখী হচ্ছেন বিনিয়োগককারীরা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত মুদ্রানীতিও পুঁজিবাজারবান্ধব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।