দেশে উদ্বৃত্ত থাকলেও ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধ করতে এবং বাজার স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক কমিয়ে বিদেশ থেকে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বরাত দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার সুমন মেহেদি এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় পরিমাণ চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মিল মালিকরা চুক্তিমূল্যে সরকারকে চাল সরবরাহ না করায় শুল্ক কমিয়ে বিদেশ থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে এর আগে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছিল।
এবার বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হলেও মিল মালিকরা চুক্তিমূল্যে সরকারকে চাল সরবরাহ করছিলেন না। চালকল মালিকরা সরকারকে চাল না দিলে প্রয়োজনে আমদানি করা হবে বলে বেশ কিছু দিন ধরেই হুঁশিয়ার করে আসছিলেন খাদ্যমন্ত্রী।
চলতি বছর সাড়ে ১৯ লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান-চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে সরকার। সে অনুযায়ী ৩৬ টাকা কেজি দরে মিলারদের কাছ থেকে ১০ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা কেজিতে দেড় লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজিতে আট লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান কেনার কথা ছিল।
কর্মকর্তারা বলছেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কিছু মিল মালিক ৩৬ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহ করতে গড়িমসি করে সরকারের কাছে চালের দাম বাড়ানোর দাবি তোলেন। অনেক মিল মালিক চুক্তিমূল্যে চাল না দেওয়ায় মজুদের লক্ষ্য পূরণ করা নিয়ে বিপাকে পড়ে সরকার।
এরপর শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত জানিয়ে গত ৭ জুলাই খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কারসাজি ঠেকাতে ও চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে প্রয়োজনে আমদানি শুল্ক কমিয়ে প্রয়োজন মতো চাল বিদেশ থেকে আমদানি করা হবে।