স্বাধীনতা এনে দেয়ার পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া বাংলাদেশকে গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। তবে সে কাজে সম্পদ আর দক্ষ জনবলের পাশাপাশি অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায় দুর্নীতি। সমস্যা চিহ্নিত করে অনিয়মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন তিনি। সতর্ক করেন প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমৃত্যু জনবান্ধব প্রশাসন গড়তে লড়াই করে গেছেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৪৫ বছর পরও বাংলাদেশের অগ্রগতির পথে অন্যতম অন্তরায় সেই দুর্নীতি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সফল বাস্তবায়নের জন্য দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন রাষ্ট্রের মালিক জনগণই হবে সকল ক্ষমতার উৎস। আর প্রশাসনের কর্মকর্তারা হবে জনগণের সেবক।
অনিয়ম বন্ধে কঠোর অবস্থানের কারণে অনেক প্রভাবশালী তখন দুরে সরে যায়। তারপরও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সে সবের তোয়াক্কা করেননি তিনি।
স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেয়া সংগঠন আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে গত তিন মেয়াদে সরকারে আছে। দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করলেও এখনও অন্যতম বাধা দুর্নীতি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমলাতন্ত্রের আধিপত্য, আমলাতন্ত্রের দুর্নীতি, এই সব বিষয়ে তিনি সতর্ক ছিলেন। অথচ এখন রাষ্ট্র আমলাতন্ত্রের হাতে।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত করে সুশাসন নিশ্চিতের তাগিদ দেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, যেই নীতিতে দেশ চলছে, সেই নীতি বজায় থাকলে দুর্নীতি দূর করা সম্ভব হবে না। একটা দুইটা দুর্নীতির ঘটনা নিয়ে হৈচৈ করে দুর্নীতি দূর করা যাবে না।