টানা তৃতীয় দিনের বৃষ্টি ও বেড়িবাঁধ উপচে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার অন্তত ৩০ গ্রাম। গলাচিপার পৌর এলাকারই পাঁচটি ওয়ার্ড বেড়িবাঁধের বাইরের বসতবাড়িসহ দোকানপাট প্লাবিত হয়েছে।
জানাগেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘু চাপে টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে গলাচিপা উপজেলার পৌরসভার বেড়িবাঁধের বাইরে পাঁচটি ওয়ার্ডের আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকা। এ ছাড়া উপজেলার চরকাজল, চরবিশ্বাস, চরবাংলা, চরমায়া, ডাকুয়ার আটখালী, গোলখালী, শেখ রাসেল স্মৃতি মিনি স্টিডিয়ামসহ অন্তত ৩০টি গ্রাম।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রয়োজনের চেয়ে কম স্লুইস গেট থাকায় বেড়িবাঁধের ভেতর একবার পানি ঢুকে গেলে পানি নিষ্কাশন হতে সময় নেয়। অপরদিকে স্লুইসগেটগুলো দখলে রয়েছে এলাকার প্রভাবশালীদের। অবৈধভাবে তারা স্লুইসগেটগুলো দখল করে তাদের ইচ্ছে মত পানি নিষ্কাশন করে। এতেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
গলাচিপা পৌর এলাকার ৩নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রফিকুল ইসলাম জানান, পৌর এলাকার বেড়িবাঁধের বাইরের থাকা আমার ওয়ার্ডসহ পাঁচটি ওয়ার্ড আংশিক প্রায়ই এভাবে ডুবে যায়। এতে আবাসিক এলাকা ও বাণিজ্যিক একা বার বার ডুবে যাওয়ায় মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পৌর এলাকার এখন শহর রক্ষা বাঁধের ব্যবস্থা না হলে দিন দিন সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পৌরসভার আড়ৎপট্টি এলাকার ব্যবসায়ী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, গলাচিপার বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে পরিচিত আড়ৎপট্টি এলাকা। অথচ এই এলাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে একটু পানি বেশি হলেই সব আড়তে পানি ঢুকে যায়। এতে ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এর স্থায়ী সমাধান না হলে এক সময় এই এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা অন্য এলাকায় চলে যেতে বাধ্য হবে।