করোনা সংক্রমণের মধ্যেও দেশের সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে ভর করে এ রেকর্ড ভাঙা সম্ভব হয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কাজ হারিয়ে দেশে ফেরা কর্মীদের কর্মসংস্থানেও ব্যয় করা যেতে পারে রিজার্ভের অংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৯০ কোটি ডলার। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই রিজার্ভ ৩ হাজার ৯শ’ কোটি ডলার ছাড়াবে বলে প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগস্টের প্রথম ২০ দিনে প্রবাসীরা ১৩৪ কোটি ১০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। গেলো বছর পুরো আগস্টেই রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। চলতি বছরের জুলাইতে ২৬০ কোটি এবং জুনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৩ কোটি ডলার।
এছাড়া জুলাই মাসে রপ্তানিও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ৩৪৪ কোটি ৯০ লাখ ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয় ৩৯১ কোটি ডলার। যা আগের বছরের জুলাই মাসের রপ্তানির চেয়েও বেশি।
করোনার কারণে পোশাক খাতের বাতিল ও স্থগিত হওয়া অনেক ক্রয় আদেশ আবারো ফিরতে শুরু করায় রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে মনে করেন শিল্প সংশ্লিষ্টরা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রিজার্ভের অর্থের সঠিক ব্যবহারেও পরিকল্পনা করতে হবে।