বেঁধে দেওয়া ৬০ টাকা কেজি দরেও বাজারে চিনি বিক্রি করতে পারছে না রাজশাহী চিনিকল। ফলে রাজশাহী অঞ্চলের চিনিকলগুলোতে শ্রমিকদের বেতন বকেয়া পড়েছে ২ থেকে ৩ মাসের। তবে ৫০০ কোটি টাকা ভর্তুকি পেলে এই সংকট কেটে যাবে বলে মনে করে মিল কর্তৃপক্ষ।
খোলা বাজারে যেখানে চিনির মূল্য ৫৭ টাকা কেজি, সেখানে রাজশাহী চিনিকলের প্রতি কেজি চিনি ৬০ টাকা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশন। ফলে অবিক্রিত কয়েক হাজার টন চিনি এখন কাল হয়েছে শ্রমিকদের।
রাজশাহী চিনিকলের শ্রমিক কর্মচারীদের তিন মাসের বেতন বন্ধ, ওভারটাইম ও ইনসেনটিভ বিল বকেয়া, সঙ্গে যোগ হয়েছে নতুন মজুরি কমিশনের এরিয়ার বিল। শ্রম দিলেও পারিশ্রমিক না পাওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন শ্রমিকরা।
শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বলছেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ব্যবস্থাপক ও কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেও কোনো সুরাহা হয়নি। উল্টো কর্পোরেশনের বেধে দেওয়া দামে চিনি বিক্রি করে বেতন নিতে বলেছেন চেয়ারম্যান।
রাজশাহী চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলছেন, সরকারের কাছ থেকে টাকা না পাওয়া এবং মিলের চিনি বিক্রি না হওয়ায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। ৫০০ কোটি টাকা ও চিনি বিক্রি করা গেলে এই সংকট কেটে যাবে।
শুধু রাজশাহী চিনিকল নয়, জয়পুরহাট, নাটোরের ২টি ও পাবনা চিনিকলের কয়েক হাজার শ্রমিকের মজুরি বকেয়া আছে।