পটুয়াখালীর গলাচিপায় মহামারি করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সংকটময় পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছেন মো. মনির হাওলাদার। মনির হাওলাদার হচ্ছেন উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মৃত. আর্শেদ হাওলাদারের ছেলে।
তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে এ কাজ করে যাচ্ছেন। তার এই কাজ সবার কাছে সমাদৃত হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায় গোলখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনির হাওলাদার ২নং ওয়ার্ডকে তার নিজের মাধুরি দিয়ে সাজিয়েছেন। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মনির হাওলাদার বলেন, ‘আমি সবার জন্যই এই সহযোগিতার ব্যবস্থা করেছি,
বিশেষ করে যারা বাজারে যেতে পারছে না, হত দরিদ্র। বাজারে জনসমাগম বেশি হলে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই মানুষ যেন কষ্ট হলেও কিছুদিন বাজারে যাওয়া থেকে বিরত থাকে, সেজন্য আমার এই ক্ষদ্র প্রচেষ্টায় প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খাদ্য দ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমার ওয়ার্ডে প্রতিটি ঘরে ১০ টাকার চালের কার্ড করে দিয়েছি। পাকা রাস্তা থেকে শুরু করে মসজিদ, মন্দির ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে সরকারীভাবে সোলার প্যানেলের ব্যবস্থা করেছি। গোলখালী ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র ২নং ওয়ার্ড। তিনি আরও বলেন, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা,
জেলে ভাতা বাড়ি বাড়ি গিয়ে করে দিয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আমার এ লক্ষ্যমাত্র। সাধারণ মানুষের সুবিধা ও তাদেরকে নিরাপদে ঘরে রাখার জন্য এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চাই। জনগণ যদি আমাকে আবারও ইউপি সদস্য হিসেবে যোগ্য মনে করে নির্বাচিত করে তাহলে আমিও এই সময়ের মত তখন তাদের পাশে থাকব।
এ বিষয় নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ. হালিম হাওলাদার বলেন, মনির হাওলাদার ইউনিয়ন যুবলীগের একজন সাংগঠনিক নেতা, গোলখালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য, সরকারী-বেসরকারী এবং নিজ উদ্যোগে ২নং ওয়ার্ডকে তার নিজের মত সাজিয়েছেন। হত দরিদ্রদের পাশে থেকে তাদের মনকে জয় করে নিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে গোলখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, মনির আমার ইউনিয়নের একজন ইউপি সদস্য। আসলেই সে একজন কর্মীবান্ধব লোক।