প্রতিযোগীতামূলক কোন লীগ বা টুর্নামেন্ট না থাকায় বরিশাল স্টেডিয়ামে গজিয়েছে বড় বড় ঘাস। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদভূক্ত ১৩টি ইভেন্টের মধ্যে আগে প্রতিযোগীতামূলক ফুটবল ও ক্রিকেটের আয়োজন হলেও অন্য ১১টি ইভেন্টের সাথে পরিচয় নেই এই অঞ্চলের নতুন প্রজন্মের।
আর গত কয়েক বছর ধরে ফুটবল-ক্রিকেট কোন আয়োজন নেই দেশের অন্যতম বৃহৎ বরিশাল স্টেডিয়ামে। তবে শিঘ্রই বরিশাল স্টেডিয়ামে প্রতিযোগীতামূলক খেলাধুলা আয়োজনের কথা বলেছেন জেলা প্রশাসক।
১৯৬৩ সালে ক্রীড়ায়োন্নয়নে কীর্তখোলা নদীর তীরবর্তী ২৯ একর জায়গা জুড়ে গড়ে ওঠে বরিশাল স্টেডিয়াম। আর ২০০৬ সালে ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিকায়ন করা বরিশাল স্টেডিয়াম এখন খাঁ খা করছে।
এই স্টেডিয়ামে কোন ধরনের প্রতিযোগীতামূলক খেলাধুলার আয়োজন না করায় ২৫ হাজার দর্শক ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন গ্যালারীতে পড়েছে শেওলা। মাঠে গজিয়েছে বড় বড় ঘাস।
করোনার প্রভাব উপেক্ষা করে এক ঝাঁক সম্ভাবনাময় ক্ষুদে তরুন খেলোয়ার প্রতিনিয়ত মাঠে কঠোর অনুশীলন করে ঘাম ঝড়ালেও নিজেদের প্রমান করার সুযোগ পাচ্ছেন না তারা।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খেলোয়ার তৈরীতে নিয়মিত লীগ ও টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে স্টেডিয়াম প্রানবন্ত করার দাবী জানিয়েছেন সাবেক খেলোয়ার ও ক্লাব কর্মকর্তারা।
কিছু মানুষ শুধু শুধু স্টেডিয়ামের পদ পদ রেখেছে কিন্তু ক্রীড়ার উন্নয়নে তারা কোন কাজ করেন না বলে অভিযোগ সাবেক খেলোয়ারদের। নিয়মিত প্রতিযোগীতামূলক খেলা আয়োজনের দাবী ক্রীড়া সংগঠকদের।
তবে শিগগিরই বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগীতামূলক খেলা আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক।