র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সহকারী পরিচালক মোঃ রবিউল ইসলাম এর নেতৃত্বে ০৯/৯/২০২০ইং তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ০৭.৩০ ঘটিকার সময় বরগুনা জেলার আমতলী থানাধীন আড়পাংগাশিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোঃ ফরিদ উদ্দিন (৫০), নামের ম্যাগনেট পিলার প্রতারণা চক্রের সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব -৮ পটুয়াখালী ।
এসময় তার কাছ থেকে একটি পিলার, দুইটি চুম্বক চাকতি এবং চুম্বক টেষ্ট কিট জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত মোঃ ফরিদ উদ্দিন, পিতা-মৃত সামছু মোল্লা এর বাড়ি বরগুনা জেলার, আমতলী থানাধীন আড়পাংগাশিয়া গ্রামে। উল্লেখ থাকে যে, আসামী ফরিদ উদ্দিন আমতলী থানা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে এই ম্যাগনেট পিলার ও পিলারের মধ্যের চুম্বক চাকতি দিয়ে প্রতারণা করে আসছিল। কতিথ এই পিলার অবস্তি চুম্বক চাকতি অতি উচ্চ আকৃষ্ট করতে পারে এবং একটি চুম্বকের মূল্য কোটি টাকার উপর বলে প্রচলিত আছে।
তারা ব্যবসায়ীদের কৌশলে নিজ এলাকায় নিয়ে আসে এবং স্যাম্পল হিসেবে চুম্বকের চাকতি দেখায়। এই চাকতির গায় খোদাই করে লেখা থাকে ঊঅঝঞ ওঘউওঅ ঈঙগচঅঘণ *১৮১৮* এবং মাঝে লেখা থাকে উঅঘএঊজ। চুম্বকটি যে আসল তা প্রমান করতে যে টেষ্ট কিট হিসেবে ব্যবহার করে শুকনা ধান যা একটি কাচের টিউবের ভিতর সংরক্ষিত থাকে। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায় চাকতিগুলো তারা নিজেরাই তৈরী করে এবং যে ধানগুলো দিয়ে টেষ্ট করা হয় সেগুলোর ভিতরে পূর্ব থেকেই সুক্ষভাবে লোহা জাতীয় পদার্থ ঢুকানো থাকে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বড়, বড় ব্যবসায়ীরা এই চুম্বকের প্রতারণা চক্রের ফাদে পা দিয়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন।
এরই প্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৮ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল মোঃ ফরিদ উদ্দিনক আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী তার অপরাধ স্বীকার করে এবং তার নামে ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (খ) ধারায় একটি মালা হয়েছে। আসামীকে আমতলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।