পটুয়াখালীতে তক্ষক পিলার সহ এর সাথে জরিত একটি চক্র জেলার বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব এর একটি গোয়েন্দা দল ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করেন। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সহকারী পরিচালক মোঃ রবিউল ইসলাম এর নেতৃত্বে আজ দুপুর আনুমানিক ০২.০০ ঘটিকার সময় পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানাধীন আমখলা এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে একটি বন্যপ্রাণী ‘‘তক্ষক’’ উদ্ধার করে।
এ সময় তক্ষক পাচারের অভিযোগে মোঃ রাসেল (৪০), পিতা-মৃত আমজাদ হোসেন, সাং-তুলাতুলি, ০৫নং ওয়ার্ড, ১০নং বালিয়াতলি ইউনিয়ন, থানা- কলাপাড়া, জেলা-পটুয়াখালীকে আটক করা হয়। উল্লেখ্য, গুজব প্রচলিত আছে ক্যান্সারের ঔষধ তৈরীতে তক্ষক ব্যবহার হয়; তক্ষক ঘরে রাখলে সহসাই ধনী হওয়া যায়; মাথার ম্যাগনেট দাম কোটি টাকা;
প্রতিবেশী দেশ ভারতে এর ব্যাপক চাহিদা; এমন গুজবের ওপর ভর করে দেশজুড়ে সংঘবদ্ধ চক্র নির্বিচারে তক্ষক ধরছে এবং পাচার করে আসছে । এমন গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে তক্ষক নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করছে এবং লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ চক্রটি । এর পর প্রতারণার মাধ্যমে তাদের হাতে কথিত ‘মহামূল্যবান’ তক্ষক বা এর কঙ্কাল গছিয়ে দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয় চক্রটি ।
একটি ১০-১২ ইঞ্চি তক্ষকের দাম ধরা হচ্ছে কমপক্ষে ৫০ লক্ষ টাকা। এই চক্রের ফাদে পা দিয়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন অনেকেই। আটককৃত ‘তক্ষক’ পাচারকারী মোঃ রাসেল (৪০) সংঘবদ্ধ ‘তক্ষক’ পাচারকারী দলের সক্রিয় সদস্য। তিনি অত্যান্ত সুকৌশলে অতি উচ্চ মূল্যে তক্ষক পাচার করে আসছে। আসামীকে উদ্ধারকৃত তক্ষকসহ জেলার গলাচিপা থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে র্যাব বাদি হয়ে গলাচিপা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৯৭৪ এর (খ) ধায়ায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।