পোশাক খাতে রপ্তানি আদেশ বাড়লেও দাম নিয়ে তীব্র প্রতিযোগীতার মুখে পড়তে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। তবে করোনার ধকল কাটিয়ে এরই মধ্যে সক্ষমতার ৭০ শতাংশ পর্যন্ত উৎপাদন করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন উদ্যাক্তারা।
অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি মিলেছে এ খাতে। সক্ষমতা বাড়ানো গেলে যা আগামী দিনেও টেকসই হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরাও।
করোনাকালীন সময়ে ব্যবসা বাণিজ্যে কিছুটা ধীরগতি থাকলেও রপ্তানিতে আশা জাগাচ্ছে দেশের শীর্ষ রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক। কঠিন এই দুর্যোগেও অর্ডার বাড়ছে পোশাকের। যা স্বস্তি ফিরিয়েছে উদ্যোক্তাদের মাঝেও।
বিজিএমইএর হিসাবে, করোনাকালে পোশাকের ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত হয় ৩১৮ কোটি ডলারের। যা এখন পাল্টেছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সবশেষ তথ্য বলছে গত এপ্রিলে ব্যাপক ধস নামে রপ্তানিতে।
পোশাক রপ্তানি নেমে আসে মাত্র ৩৭ কোটি ডলারে। যা গেল দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে অর্থবছরের শুরুতে জুলাই মাসে বড় প্রবৃদ্ধি মিলে পোশাক রপ্তানিতে।
আগস্টে কিছুটা কমলেও গত দুই মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় দুই শতাংশ বেশি আয় হয়েছে পোশাক খাতে। তবে পোশাকের অর্ডার বাড়লেও দাম নিয়ে কিছুটা হতাশার কথা জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
তবে এই দু:সময়েও পোশাক খাতে অর্ডার বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে। ব্র্যান্ড বায়ারদের ধরে রাখার সক্ষমতা বাড়ানো গেলে আগামী দিনগুলোতে পোশাকের এই প্রবৃদ্ধি টেকসই হবে বলে মনে করছেন এই গবেষক।
বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্ববাজারে ধীরে হলেও পোশাকের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। ফলে বাতিল ও স্থগিত হওয়া পণ্যের ক্রয়াদেশ আসায় গতি ফিরছে পোশাক রপ্তানিতে।