পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি করতে ভারতের রপ্তানিকারকরা দরকষাকষি করছে বাংলাদেশের আমদানিকারকদের সঙ্গে। এজন্য ভারত থেকে সবকটি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু এই খবরে, আগে আমদানি করা পেঁয়াজের দর মাত্র কয়েক ঘণ্টার নোটিশে পাইকারি বাজারে অন্তত ১০ টাকা বেড়ে গেছে।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে এখন পাইকারি মূল্য ৫০ টাকা। এতে পাইকার কিংবা খুচরা বিক্রেতাদের লাভের অংক বড় হলেও, সাধারণ ক্রেতাদের সংসার চালানোর হিসেবে আসছে পরিবর্তন।
প্রতিদিন যেখানে শত শত টন আমদানি পেঁয়াজ নিয়ে ট্রাক ঢোকে বাংলাদেশে, সেখানে পেট্রাপোল থেকে কোন পেঁয়াজের ট্রাক ছাড়েনি সোমবার। বেনাপোলে আজ ভিন্ন চিত্র।
বেনাপোল ও অন্যান্য স্থলবন্দর ব্যবহারকারি আমদানিকারকরা বলছেন, এই নিত্যপণ্যের আমদানি মূল্য টন প্রতি আড়াইশো ডলার থেকে বাড়িয়ে সাড়ে সাতশো ডলার করার প্রস্তাব দিয়েছে ভারতের ব্যবসায়িরা। এই প্রস্তাব মেনে নিলেই শুরু হবে রপ্তানি কাজ।
বেনাপোলে আমদানি বন্ধ হওয়ার ঘটনা দুপুরের। অথচ চট্টগ্রামে দেশের অন্যতম বড় পাইকারি বাজারে এর প্রভাব শুরু হয়ে গেছে বিকেল থেকেই। সোমবার সকালে ৩৬ টাকা দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ, বিকেলে পৌঁছায় সর্বোচ্চ ৫০ টাকায়।
খুচরায় এই মূল্য বৃদ্ধির হার আরো বেশি হতে পারে বলে ধারণা সাধারণ মানুষের। তারা বলছেন, কারণ ছাড়া এভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি বাজার ব্যবস্থার ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকার খণ্ডচিত্র মাত্র।
চলতি বছরের শুরুতে ভারত রপ্তানি বন্ধ করায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৩শ টাকায়। এরপর কেজি প্রতি দাম ৩০ টাকায় নেমে আসলেও, নানা অজুহাতে গেল এক মাসে তা ঠেকে ৬০ টাকায়।