টিকেট ও ফ্লাইটের দাবিতে রাজধানীতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন সৌদিআরব যেতে ইচ্ছুক প্রবাসী কর্মীরা। মঙ্গলবার কারওয়ানবাজারে সৌদি এয়ালাইন্স কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা।
এ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহিবুল হক জানিয়েছেন, সৌদি এয়ারলাইন্সকে সপ্তাহে দুইটি করে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ বিমানকেও আগামি পহেলা অক্টোবর থেকে সপ্তাহে ৮টি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে সৌদি আরব।
ফ্লাইটের দাবিতে সোমবার বাংলাদেশ বিমানের সামনে বিক্ষোভের পর মঙ্গলবার ফের কারওয়ানবাজারে সৌদি এয়ারলাইন্সের সামনে বিক্ষাভ করেন প্রবাসীরা। এসময় বিক্ষুব্ধরা সড়ক অবরোধ করলে এলাকাজুড়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। অবশ্য পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
টিকেট কেটেও জরুরি প্রয়োজনে সময়মতো সৌদি ফিরতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রবাসীরা।
নির্দিষ্ট সময়ে ফিরতে না পারলে চাকরি হারানো, ভিসা ও আকামার মেয়াদ শেষ হওয়াসহ নানা রকম শঙ্কায় রয়েছেন ছুটিতে এসে আটকে পড়া প্রবাসীরা।
আন্দোলনের মুখে সৌদি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি মাসেই চারটি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে তারা। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এই ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানো হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহিবুল হক জানান, নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ যতগুলো ফ্লাইটের অনুমতি দেবে সৌদি সরকারেরও ততোগুলো ফ্লাইটের অনুমতি দেওয়ার কথা। কিন্তু তারা সেই নিয়ম না মানায় সাময়িকভাবে এই সংকট তৈরি হয়।
তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি সৌদি সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কাছে তোলায় তারা আগামি পহেলা অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ বিমানকে সপ্তাহে ৮ টি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে। এখন আমরা ল্যান্ডিং অনুমতির জন্য অপেক্ষা করছি।
আশা করছি দুই-একদিনের মধ্যেই পেয়ে যাবে।। ল্যান্ডিং অনুমতি পেলে ফিরতি টিকেটধারিদের আগে টিকেট দেবে বাংলাদেশ বিমান। প্রবাসীদের ধৈর্য ধারনের অনুরোধ জানান সচিব।
সৌদি এয়ারলাইন্সকে বাংলাদেশ অনুমতি দিলেও, বাংলাদেশ বিমানকে সৌদিআরব ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি না দেওয়ায় সৌদি এয়ারলাইন্সের অনুমতিও বাতিল করে বাংলাদেশ।
এতে কর্মস্থলে ফেরা নিয়ে সংকটে পড়েন প্রবাসীরা। প্রয়োজনে সৌদি এয়ারলাইন্সকে আরো ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোর অনুমতি দেবে ঢাকার সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।