পটুয়াখালীতে স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় প্রবাসী স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা, ঘটনাটি জেলার গলাচিপা উপজেলার গলাচিপা পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডে ফিডার রোডের ঘটনা। গত ১০ অক্টোবর স্ত্রী সাবিকুন নাহার কতৃক প্রবাসী স্বামী শশুর সহ ৪ জনকে আসামী করে পটুয়াখালী বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন,
মামলার তদন্তের জন্য গলাচিপা পৌরসভার মেয়র মহোদয়কে তদন্তের দায়ীত্ব দেন আদালত, তদন্ত চলমান রয়েছে। এদিকে ভুক্তভোগী মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ প্রবাস থেকে প্রতিবেদকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা দেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধা,অনেক কস্টের বিনিময়ে নিজের জীবনকে উজার করে দিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে দেশে টাকা পাঠাই, সেই টাকায় পরিবার পরীজন চলে কিন্তু, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বেশিরভাগ প্রবাসীর স্ত্রী স্বামীর টাকা পয়সা নিয়ে পরকীয়ার কারনে অন্যের সাথে চলে যায়। শুধু সে একাই জায় না,
সাথে কোথাও কোথাও তার স্বামীর সারাজীবনের কস্টের সম্বলটুকু নিয়ে স্বামীকে নিঃস্ব করে চলে যায়। আমার ও তেমন একটি ঘটনা ঘটে। আমি দীর্ঘ দিন প্রবাসে আছি শুধু মাত্র আমার স্ত্রী সন্তান ও পরিবারের ভরনপোষণ ও একটু ভালো থাকার প্রত্যায় বিদেশে অবস্থান আমার কিন্তু, আমার বিদেশে থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমার স্ত্রী আমার টাকায় তার ভগ্নিপতি মামুনের সাথে পরকীয়ায় জরিয়ে পরে এমনকি তারা একাধিক বার দৈহিক সম্পর্কে মিলিত হয়,
বিষয়টি আমি টের পেয়ে আমার স্ত্রীর পরিবারের সাথে একাধিক বার বৈঠক করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করলেও তাতে কোন সমাধান হয়নি। এমনকি আমার শশুর বাড়ীর লোকজন গত ১৫ই আগস্ট ২০১৯ তারিখ আমার মামা শশুর মোঃ মহিউদ্দিন, মজিবুর রহমান, শাশুড়ী জাহেদা বেগমসহ অজ্ঞাতনামা লোক নিয়ে আমার শশুরের বাসায় বসিয়া আমার পাসপোর্ট টিকেট আটক করিয়া আমার সম্পত্তি জোরপূর্বক তাদের নামে লেখিয়া দেওয়ার জন্য আমাকে ব্যাপক মারধর করে।
আমি তখন গলাচিপা থানা পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার হই। ইতিপূর্বে এ বিষয় গলাচিপা উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন শাহ ও থানার দারোগা দুইজন,মহিউদ্দিন সিকদার, আঃ রব আকন ও মাঈনুল ইসলাম রনো মিয়া শালিসি করিয়া আমার স্ত্রীকে আমার নিজ বাসা গলাচিপা ফিডার রোডে বসবাস করার জন্য পরামর্শ দিলে আমার স্ত্রী তাহা আমান্য করিয়া তাহার পিত্রালয় অবস্থাণ করিতেছে,
তাহা সত্যেও আমি আমার স্ত্রী সাবেকুন নাহারকে গত ১৮ ও ২৯ শে জুলাই দুই বারে এক লক্ষ্য টাকা দেই। এ বিষয় আমি সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশে এ্যাম্বাসির প্রথম সেক্রেটারি মোঃ বেলাল হোসেনের মাধ্যমে গত ২৩শে ডিসেম্বর গলাচিপা থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করি যার নং ৪০৫ তাং ১১/০১/২০২০ইং।
ডায়েরিতে আরও উল্লেখ রয়েছে যে,আনুমানিক ২০০৫ সালে গলাচিপা পৌরসভার সবুজবাগ নিবাসী মোঃ গিয়াসউদ্দিন মাঝির ছোট মেয়ে সাবেকুন নাহার লাকির সাথে আমার পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই, আমার ঔরসে মুশফিকুর রহমান (১০) নামে একটি সন্তান রয়েছে। আমি প্রবাসে থাকায় আমার স্ত্রীর বড় ভগ্নপতি মোঃ মামুনের সাথে পরকীয়ায় জরিয়ে পরে এবং আমার নিকট থেকে প্রায় ১২ লক্ষ্য টাকার স্বর্ণালঙ্কার ও নগত ৭ লক্ষ্য টাকা নিয়ে যায়।
নগত টাকায় আমার নামে জমি ক্রয় করার কথা থাকলেও তা তার নিজের নামে করে নেয়। বিষয়টি আমি জানতে পেরে আমার স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তার ভগ্নিপতি মামুনের সহযোগিতায় আমাকে প্রান নাশের হুমকি দেয়। আমি বর্তমানে বিদেশে থাকায় প্রানে বেচে গেলেও আমার পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছে। এ ঘটনায় গলাচিপা থানা সহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানাই এবং অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী করছি।