পটুয়াখালীর গলাচিপায় ফিরোজা বেগম (৬০)কে মারধর করার খবর পাওয়া গেছে। ফিরোজা বেগম হচ্ছেন উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ১নং সুহরী গ্রামের মৃত. সুলতান মোল্লার স্ত্রী।
বুধবার বিকালে জমি-জমার জের ধরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এ মারধর হয় বলে এলাকাবাসী জানান। পরে এলাকাবাসী উদ্ধার করে ফিরোজা বেগমকে গলাচিপা হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ইমাম সিকদার বলেন, ফিরোজা বেগমের শরীরে চোট লেগেছে এবং তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুলা জখম আছে। সে আমার চিকিৎসাধীনে ৩য় তলার ৭নং বেডে ভর্তি আছে।
এ বিষয়ে ফিরোজা বেগম জনান, আমাকে আমার বাসার সামনে বসে আমাদের একই বাড়ির মো. মনির মোল্লা, মো. প্রিন্স, মো. ইব্রাহিম মোল্লা, হাফেজ মোল্লা, মো. সোহেল একত্রিত হয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চড়াও হয়ে আমাকে মারধর করে।
আমার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে মারধরকারীরা অন্যত্র চলে যায়। পরে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে মো. মনির মোল্লার কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মো. মোসলেম প্যাদা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, দু’পক্ষকে ডেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার গলাচিপা থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানান।