বহুল প্রতিক্ষিত মার্কিন নির্বাচনের ভোট কাল। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও প্রচারণায় ব্যস্ত দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্প ও বাইডেন। শেষ মুহূর্তে মিশিগান, আইওয়াসহ ৫ টি সুইং স্টেটে ঝটিকা সফর করছেন ট্রাম্প।
আর বাইডেন ভোটারদের মন জয় করতে যাচ্ছেন আরেক সুইংস্টেট ফিলাডেলফিয়ায়। এরই মধ্যে ২০১৬ সালের মোট কাস্টিং ভোটের দুই তৃতীয়াংশের বেশি আগাম ভোট পড়েছে বলে তথ্য দিয়েছে সিএএন।
যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত দুই ধরনের ভোটার রয়েছে। এক দল লিবারেল বা উদারপন্থী, যারা ডেমোক্র্যাটিক দলকে সমর্থন করে। আর আরেকদল কনজারভেটিভ বা রক্ষণশীল, যারা বরাবরই রিপাবলিকানদের ছায়াতলে থাকে। এই ভোটগুলো সাধারণ নড়চড় হয় না।
তাই সুইং স্টেস্টের ভোট বরাবরের মতো এবারও বড় ফ্যাক্টর। কেননা এই অঙ্গরাজ্যরাজ্যগুলোর ভোট প্রার্থীদের জয়ে একটি বড় ভূমিকা রাখে। তাইতো শেষ মুহুর্তেও পেন্সিলভেনিয়া, মিশিগান, ফ্লোরিডাসহ বিভিন্ন দুদোল্যমান রাজ্যগুলোর ভোটারদের কাছে টানতে মরিয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও বাইডেন। নির্বাচনের আগে রোবববার শেষ সাপ্তাহিক ছুটির দিনটিও তাদের প্রচারণার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে সুইং স্টেস্টেগুলো।
এদিকে পেন্সিলভেনিয়ায় শনিবার চারটি র্যালি করেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রকে আবারো শক্তিশালী করার অঙ্গীকার করে ভোটারদের কাছে হোয়াইট হাউজের চাবি প্রার্থনা করেন তিনি।
জো বাইডেন একজন দুর্নীতিবাজ রাজনীতিক। বাইডেন জিতলে, চীন জিতবে। আর আমরা জিতলে জিতবে পুরো যুক্তরাষ্ট্র। তাইতো আপনাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
শেষমুহুর্তে এসে সুইংস্টেটগুলোতে চষে বেড়াচ্ছেন বাইডেনও। শনিবার মিশিগানে প্রচারণায় তার সঙ্গী হয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
পুরো যুক্তরাষ্ট্রে বিশেষ করে মিশিগানে সব কমিউনিটির লোক বাস করে। এই দেশে বিশ্বের সবাই স্থায়ী হতে আগ্রহী এটো ভেবে আমাদের গর্ব হয়।
এদিকে, ৩ নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে এ পর্যন্ত রেকর্ড সংখ্যক প্রায় সাড়ে ৯ কোটি ভোটার তাদের আগাম রায় দিয়েছেন। যেখানে ২০১৬ সালে মোট ভোট পড়েছিল প্রায় ১৪ কোটি।