পটুয়াখালীর গলাচিপায় শীতের শুরুতেই লেপ-তোষক ও কাঁথার কদর বেড়েছে। তাই এই লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। প্রতিদিন লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার বৃদ্ধি পাওয়ায় কারিগরদের ব্যস্ততাও বেড়েছে দ্বিগুণ। লেপ-তোষক ও কাঁথা তৈরি করেই গলাচিপা শহরে ও গ্রামে প্রায় দুই শতাধিক নারী-পুরুষ শ্রমিকরা টাকা উপার্জন করে সংসার চালাচ্ছেন।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কারিগররা নিজ নিজ বাড়ির উঠানে কেউবা খোলা জায়গায় বসে লেপ-তোষক ও কাঁথা তৈরি করছেন। তাদেরকে সহযোগিতা করছেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও। পিছিয়ে নেই স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও। করোনার প্রভাবের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় তারা বেশি থেকে বেশি সময় দিয়ে বাবা ও মাকে সহযোগিতা করছেন তারা। এসব সামগ্রী শহরের বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করা হয়।
কারিগর বাবু, ফাতেমা সহ অনেকে জানান, বাপ-দাদার দেখাদেখি আমরাও দুই যুগ ধরে লেপ-তোষক তৈরি করে আসছি। প্রতিদিন প্রায় ৬টি লেপ-তোষক তৈরি করা যায়। একেকটি লেপ-তোষক তৈরি করে মজুরি পাই ৮০ থেকে ৯০ টাকা। এভাবে প্রতিদিন ৪শ থেকে ৫শ টাকা আয় হয়। যা দিয়ে সংসারের চাহিদা কিছুটা হলেও মেটানো সম্ভব হয়। তিনি আরও বলেন, অর্ডার বেশি হওয়ার কারণে ৩-৪ জন কর্মচারী নিয়ে কাজ করতে হয়। তাদেরকে প্রতিদিন ৩শ টাকা করে মজুরি দিই।
তবে লেপ-তোষক তৈরির কারিগরদের দাবি, সরকারি ও বেসরকারিভাবে স্বল্প সুদে ঋণ পেলে ব্যবসা প্রসারিত করতে পারবেন তারা। এর ফলে সংসারে অভাব-অনটন দূর হবে। এমনকি বেকার যুবক-যুবতিদের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে। গলাচিপা শহরের লেপ-তোষক বিক্রেতা মনির হোসেন, ভাষাণ মিয়া, ইদ্রিস মিয়া সহ আরও অনেকে জানান, লেপ-তোষকের মান অনুযায়ী প্রতি লেপে ৮০ থেকে ৯০ টাকা লাভ হয়। তাতে দিন ঘুরে ৫ থেকে ৬টি লেপ-তোষক বিক্রি করে গড়ে ৪শ থেকে ৫শ টাকা উপার্জন হয়।