নওগাঁর মান্দায় পাথর ও খড় বোঝাই দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত পাঁচজনকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার করে প্রথমে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এরপর গুরুত্বর আহত ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে শহীদ কামরুজ্জামান টেক্সটাইল কলেজের পাশে জোনাকি হোটেলের সামনে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে এই ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে, নওগাঁ সদর উপজেলায় পৃথক দুর্ঘটনায় আরিফা বেগম (৫৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সকাল ৭টার দিকে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের ডাক্তার মোড় এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় ওই নারীর মৃত্যু হয়।
মান্দায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন- কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আংগারিয়া গ্রামের শরৎ চন্দ্র বর্মণের ছেলে দীনেশ চন্দ্র বর্মণ (৩৮) ও একই গ্রামের দীনবন্ধু বর্মণের ছেলে দীনেশ বর্মণ (৩৬)।
আহতরা হলেন, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলা ছোটখাটামারি গ্রামের শিপন আলী (২৪), আংগারিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৩৫), একই গ্রামের গৌরাঙ্গ চন্দ্র বর্মণ, নলেয়া গ্রামের বাচ্চু মিয়া (৩৫) ও রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার খালগ্রামের আব্দুল জলিল (৪০)।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, হতাহতদের মধ্যে ট্রাকচালক শিপন আলী ছাড়া অন্যরা পান ও খড় ব্যবসায়ী। কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী থেকে আনা খড় রাজশাহীর বাগমারার মচমইল বাজারে বিক্রি করে সেখান থেকে পান কিনে আবার তাদের ভুরুঙ্গামারী ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। দুর্ঘটনায় শিকার খড় বোঝাই ট্রাকটি উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ট্রাক থেকে পান কেনার জন্য কয়েকটি বস্তার মধ্যে যার একটিতে ৪২২০০ টাকা, অপরটিতে ৯০৯০০ টাকা যার প্রত্যেকটি নোট দুই টাকার। একটি বস্তায় ৫৫০০ টাকা, একটি বস্তায় এক হাজার টাকার কয়েন উদ্ধার করা হয়। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, সকাল ৭টার দিকে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে উপজেলার ডাক্তার মোড় এলাকায় আরিফা বেগম নামে এক নারী বাস ধরার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় নওগাঁগামী বালুবোঝাই একটি ট্রাকের চাপায় ঘটনাস্থলেই ওই নারীর মৃত্যু হয়। নিহত ওই নারী সদর উপজেলার বাচাড়ীগ্রাম এলাকার শামসুল হকের স্ত্রী।