পটুয়াখালী দশমিনার বাঁশবাড়িয়ায় আলোচিত বাবা হত্যার আসামী মোঃ ইমরান গ্রেফতার। গত ১৯শে নভেম্বর
সকাল অনুমান ০৭:০০ ঘটিকায় দশমিনা থানাধীন বাঁশবাড়িয়া গ্রামে নজরুল ইসলাম নাছরুল আলম হাওলাদার (৪৫), পিতা- ফজলুল হক, সাং-বাঁশবাড়িয়া, ০৮ নং ওয়ার্ড, থানা-দশমিনা, জেলা- পটুয়াখালী এর গলার বাম পাশে কানের নিচে ঘাড়ে কাটা রক্তাক্ত লাশ তার বসত ঘর সংলগ্ন ছাগল রাখার ঘরে প্লাস্টিকের বস্তাবন্দি অবস্থায় পাওয়া যায়। রাতে তার স্ত্রী রিনা বেগম (৪০) ও সে ঘরের মধ্যে একই বিছানায় ঘুমানো ছিল। ঘটনার পর হতে তার ছেলে ইমরান(২৬) পলাতক ছিল। উক্ত ঘটনার সময় চট্টগ্রামে অবস্থানরত ভিকটিমের ছোট ছেলে ইলিয়াস (১৯) বাড়িতে এসে বাদী হয়ে দশমিনা থানায় এজাহার দায়ের করলে মামলা নং ০৭, তারিখঃ ২০/১১/২০২০, ধারাঃ ৩০২/২০১/৩৪ পিসি রুজু হয়।
বিশেষ উল্লেখ্য যে, ভিকটিমের কাঠের দোতলা বসত ঘরের ২য় তলায় টেবিলের উপর একটি চিরকুট পাওয়া যায় যাতে লেখা ছিল “আমার মা এই খুনের বিষয় কিছুই জানে না, আমি ইমরান নিজে এবং একা এই খুন করছি।”
উক্ত ঘটনার পর পটুয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান পিপিএম আসামীকে গ্রেফতার করতে সার্বিক দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩শে নভেম্বর ভিকটিমের বড় ছেলে ও মামলার প্রধান আসামী ইমরানকে ঢাকার শাজাহানপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান জানায় যে, তার বাবা জমি বিক্রি করে তাকে কোন টাকা না দেয়ায় এবং দীর্ঘদিন ধরে তার মাকে অত্যাচার করার ক্ষোভ থেকে সে ঘরে থাকা দা দিয়ে কুপিয়ে তার বাবাকে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দি করে পালিয়ে ঢাকা চলে যায়। গত ২৩শে নভেম্বর রাত আনুমানিক ০৯:১৫ ঘটিকায় তার দেখানো মতে নিজ ঘর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দেশী দা’টি উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাপ্ত চিরকুটটির সত্যতা নিশ্চিতের জন্য যথাযথ বিশেষজ্ঞ কর্তৃক যাচাইয়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
গতকাল ২৪শে নভেম্বর সকাল ১১.০০ ঘটিকায় তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে সে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক ঘটনার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।