পটুয়াখালীর গলাচিপায় দূর থেকে দেখে মনে হবে এ যেনো জমিতে পানি সেচের জন্য তৈরি করা শ্যালো মেশিন কিংবা গভীর নলকূপের ঘর। তবে কাছে গিয়ে দেখা যায় সেই ছোট ঘরে এক ব্যতিক্রম পরিবারের বসবাস।
নিজের জায়গা-জমি কিছু না থাকায় স্থানীয় এক ব্যক্তির গভীর নলকূপের ঘরের পাশে খড়কুটো দিয়ে তৈরি করা ছোট ঘরে বসবাস করে লাইজু বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা। উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের পূর্ব গোলখালী এলাকায়। ডিজিটাল যুগেও এ যেনো এক মানবেতর জীবন যাপন।
খোলা মাঠ চারিপাশে শুধু ফসলের জমি আর জমি। সেখানেই একটি গভীর নলকূপের সাথেই খড়কুটো দিয়ে ছোট্ট একটি ঘর তৈরি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে লাইজু বেগম (৩৫) নামের এক নারী। সেই ঘরে থাকে তার স্বামী মো. জাহিদুল তালুকদার ও দুই সন্তান। লাইজু বেগমের সাথে সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার স্বামী একজন দিনমজুর। দিন আনি দিন খাই।
এখন তিনি পক্ষঘাত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ঘরেই থাকেন। নিজের জায়গা জমি কিছুই নেই, নেই কোন বাড়ি ঘর। একটা ছোট ঘরে থাকি। ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে অনেক কষ্টে থাকি। সরকারের কাছে চাওয়া আমাকে একটু জায়গাসহ নিরাপদ একটি থাকার ব্যবস্থা করে দিলে আমি উপকৃত হবো।
গোলখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার জানান, আমার কাছে তো তারা আসেনি। আর আমি জানি না। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম, তাদেরকে আমার কাছে আসতে বলেন।
তাদের যদি ঘর না থাকে তাহলে প্রধানমন্ত্রী যে প্রকল্প রয়েছে সেখানে উপজলো প্রশাসনের সাথে কথা বলে ঘরের ব্যবস্থা করা হবে। গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশীষ কুমার বলেন, আমি এ বিষয়ে জানি না।
তবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।