আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন সোলস ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য ও সংগীত পরিচালক মীর মাসুম।
আলোচিত ‘বাবু খাইছো’ গানের শিরোনাম, কথা, সুর চুরি ও বিকৃত করার অভিযোগে হিরো আলমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন তিনি।
গত ৬ ডিসেম্বর ডিজিটাল সুরক্ষা আইনের ২২-২৩-২৪ ধারায় হিরো আলমের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে বাদী মীর মাসুমের পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন আইনজীবী দিদার-উস-সালাম। এ আইনজীবী জানান, মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত সিআইডিতে পাঠিয়েছেন।
এদিকে হিরো আলম বাদী মীর মাসুমকে উদ্দেশ করে বলেছেন, সে যুবসমাজকে নষ্ট করেছে। সে বাবু খাইছোর মতো ন্যাকামো গান করে আগে সমালোচনার মুখে পড়েছে। কারণ এই গানে বাবা-মা, ভাই, ছেলে- সবার মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক দেখানোর চেষ্টা করেছে।
এ ছাড়া সে আমাকে একটা সংবাদমাধ্যমে জোকার বলেছে। সে আমাকে মনে করেছে সহজ-সরল ছেলে। কিন্তু ভাই আমি ওর বিরুদ্ধে মামলা করব। প্রস্তুতি নিচ্ছি।
আশরাফুল আলম বলেন, ওর বাবু খাইছো গানটাকে আমি ব্যঙ্গ করে গেয়েছি। আমি তো শিল্পী না। আমি শখ করে গেয়েছি। আমি তো আর শিল্পীর মতো গাইতে চাইনি, ভাইরাল হতে চাইনি। হিরো আলম বলেন, ওরা যে গানটি ছেড়েছে তা নিয়েই প্রচুর সমালোচনা হয়েছে। ওটা কোনো গানের ক্লাসের মধ্যেই পড়ে না।
তার পরেও তারা গানটি করেছে। বাবু খাইছো শব্দটা ফেসবুকে প্রচলিত শব্দ। সবাই বলে লেখে। ওরা গানের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে বলে ওদের হয়ে গেল? সবার আগে আমার কথা হলো, আমি কোনো গায়ক না, আমি শখে গেয়েছি। এতে কারো ক্ষতি হওয়ার কথা না।
মামলার বিষয়ে মীর মাসুম বলেন, আমার সৃষ্টিকে চুরি ও বিকৃত হতে দেখলাম। আবার বিকৃত করে তা দিয়ে অর্থ উপার্জনও করছে হিরো আলম। এটাকে চুরি বলাও ঠিক হবে না; বরং এটি ডাকাতি। আমার সঙ্গে যা ঘটেছে তা যেকোনো শিল্পীর জন্য অপমানজনক। আমি তারই বিচার চাই আইন ও রাষ্ট্রের কাছে। আশা করছি, সুবিচার পাব।
গত ১১ সেপ্টেম্বর ইউটিউবে মুক্তি পায় একক নাটক ‘বাবু খাইছো?। মুক্তির দুই মাসের মধ্যে নাটকটির ভিউ এক কোটি ছাড়িয়েছে। মূলত এই নাটকের শিরোনাম সংগীত তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়। ‘বাবু খাইছো শিরোনামের গানটির কথা ও কণ্ঠ দেন মীর মারুফ।
এদিকে এই গানের সূত্র ধরে হিরো আলমও একটি গান গেয়েছেন।