কাবিলার মাথাব্যথার কারণ জাকির। প্রেমিকা রোকেয়াকে নিষেধ করা হয়েছিল জাকিরের সঙ্গে যেন কথা না বলে। কিন্তু রোকেয়া জাকিরের সঙ্গে কথা বলতে চায়। বিষয়টি নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয় কাবিলা ও রোকেয়ার মধ্যে। প্রেমিকার এহেন আচরণ মেনে নিতে পারে না কাবিলা। একসময় নোয়াখালীতে চলে যায় কাবিলা। খুঁজে বেড়ায় রোকেয়াকে
একটি ভিডিওতে দেখা যায় কাবিলা বলছেন, ‘এই তোমরা রোকেয়ারে দেখা পাইলে বইলো কাবিলা নোয়াখালী আসছিল।’ শুটিং দেখতে ভিড় জমানো হাজার দর্শক একসঙ্গে চিৎকার করে হ্যাঁ হ্যাঁ বলে।
ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর দল নোয়াখালী গিয়েছিল বিশেষ দৃশ্য শুটিং করতে। সেখানেই দেখা মেলে জাকিরের। ব্যাচেলর টিম সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। অবশ্য কাজল আরেফিন অমিও নিশ্চিত করলেন আসন্ন পর্বে জাকিরকে দেখা যাবে। কিন্তু কে এই জাকির? যার জন্য কাবিলার জীবনে নেমে আসে অস্থিরতা, যার জন্য কাবিলার জীবন হয়য়ে ওঠে দুর্বিষহ? সে বিষয়টিই কালের কণ্ঠকে বললেন কাজল আরেফিন অমি।
অমি বলেন, ‘নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী জাকির। এ ছাড়া সে কম্পিউটার দিয়ে মোবাইলে গান আপলোড করে থাকে। জাকিরের বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগের মধ্যে অন্যতম অভিযোগ হলো, সে পাড়ার মেয়েদের মোবাইলে গানের ভিডিও ডাউনলোড করার পাশাপাশি কিছু অন্য রকম ভিডিও দিয়ে দেয়। এ ছাড়া মেয়েদের সঙ্গে সে ফ্লার্টিং করে। আসন্ন পর্বে জাকির এভাবেই উপস্থিত হবে।’
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে জাকির নামেই যুক্ত হলেন পাভেল। স্ট্যান্ড আপ কমেডি রিয়ালিটি শো ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার’-সিজন ৯-এর দ্বিতীয় রানার আপ এবং দর্শক জরিপে চ্যাম্পিয়ন ছিলেন পাভেল। ব্যাচেলর পয়েন্টের দর্শকরা এবার জাকিরকে খুঁজে পাবেন।
পাভেলকে জাকির হিসেবে চূড়ান্ত করার কারণ হিসেবে অমি জানালেন, কয়েকজনকে নোয়াখালীর ভাষা শিখিয়ে যখন সংলাপ দিচ্ছিল এক্সপ্রেশনটা ঠিকভাবে আসেনি। অনেক সময় এক্সপ্রেশন ঠিক দিলেও নোয়াখালীর ভাষা বলতে পারেনি। আবার যখন শিখে কথা বলে অহেতুল ওই অঞ্চলের ভাষায় একটা টান দেয়। এই টানটা ওই অঞ্চলের মানুষ দেয় না। শুধু শব্দগুলো আলাদা। অনেক কিছু বিশ্লেষণ করেই পাভেলকে নিয়েছি।