পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় বসত ঘরে ঢুকে মারধর করায় একজনকে গ্রেফতার করেছে রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ।
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় মো. জাহাঙ্গীর ঢালী (৬০) নামে একজন গুরুতর আহত হয়ে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এ বিষয়ে গলাচিপা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাহরিয়ার বলেন, জাহাঙ্গীর ঢালী আমার চিকিৎসাধীনে দ্বিতীয় তলায় ভর্তি আছে। তার মাথায় সেলাই লেগেছে।
এ ঘটনায় রাঙ্গাবালী থানায় মামলা করেছে আহত জাহাঙ্গীর ঢালীর মেয়ে মোসা. তানিয়া বেগম। যার মামলা নং-০৬। তারিখ- ১৪/১২/২০২০। ওই রাতেই প্রধান আসামী মো. দুধা হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ।
তানিয়া বেগম জানান ও মামলা সূত্রে, গত ১৩ ডিসেম্বর রোববার রাত আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের চর ইমারশন গ্রামে আমার বাবার বসত ঘরে ঢুকে আমাদের এলাকার মৃত কালু হাওলাদারের ছেলে মো. দুধা হাওলাদার এর নেতৃত্বে ৭/৮জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তরমুজ চাষের পূর্ব জের ধরে আমার বাবার উপর হামলা চালায়।
হামলায় আমার বাবা গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন আমার বাবাকে গলাচিপা হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমার বাবার ঘরের মালামাল ভাংচুর করে প্রায় ৫০হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে এবং তরমুজ চাষের জন্য আলমারির ভিতর থাকা ৮২ হাজার টাকা নিয়া যায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনায় তানিয়া বেগম বাদী হয়ে ১৪ ডিসেম্বর দুধা হাওলাদারকে প্রধান আসামি করে মোট ৮ জনের নামে রাঙ্গাবালী থানায় মামলা করেন। মামলা হওয়ার পর প্রতিপক্ষের লোকজন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তারা আবারও হামলার হুমকি দিচ্ছে। ফলে নিরাপত্তহীনতার কারণে পরিবারের বাকি সদস্যরা অন্যত্র আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
আহত জাহাঙ্গীর ঢালী জানান, তরমুজ চাষের পূর্ব শত্রুতার জেরে দুধাসহ ৭/৮জন লোক আমার ঘরে প্রবেশ করে আমাকে এলোপাথারীভাবে কুপিয়ে আমার ঘরে থাকা মালামাল ভাংচুর ও টাকা পয়সা লুট করে নিয়ে যায়।
এদিকে এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, হামলার ঘটনায় আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে মামলা রেকর্ড হয়েছে। প্রধান আসামি দুধা হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছি।