December 28, 2024, 12:02 pm

এভাবেই ‘মেরেছে’ তমা মির্জা, অভিযোগ স্বামীর

অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : Sunday, December 20, 2020,
  • 155 Time View

চিত্রনায়িকা তমা মির্জা এবং তার স্বামী হিশাম চিশতি পরস্পরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গত ৬ ডিসেম্বর রাজধানীর বাড্ডা থানায় ওই ফৌজদারি মামলা করেন হিশাম চিশতি। মামলায় তমা মির্জা ছাড়াও তার পরিবারের কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার ধারা নং ৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৭/১০৯। মামলাটিতে তমা মির্জাকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া তার বাবা-মা, ভাই এবং অজ্ঞাতপরিচয় একজনকেও আসামি করা হয়েছে

এবার হিশাম চিশতিকে মারধরের বেশ কিছু ছবি মিডিয়ায় এসেছে। হিশাম চিশতি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি আগেই বিচ্ছেদ চেয়েছিলেন, তার জের ধরেই হামলার শিকার হতে হয়েছে তাকে। হিশাম চান, তার এ ঘটনা থেকে লোকে শিক্ষা নিক।

এদিকে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যান্ডেজ নিয়ে রয়েছেন তিনি। শরীরে মারধরের অসংখ্য চিহ্ন রয়েছে। এসব তমা মির্জার নির্যাতনের চিত্র বলে তিনি জানান। বিবাদের কারণ হিসেবে হিশাম গণমাধ্যমকে জানান, ২০১৮ সালে তমার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে তারা বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন, তমার আগেও দু’বার বিয়ে হয়েছিল, যা তারা গোপন করেছেন। এছাড়া তমার পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতাও করে আসছিলেন হিশাম।

হিশাম করোনার সময় অসুস্থ মাকে দেখতে কানাডা থেকে দেশে এসেছিলেন তিনি। এরই মধ্যে স্ত্রী তমাকে নিয়ে দুবাইয়ে হানিমুনেও যান। হানিমুন থেকে ফেরার পর নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে তীব্র বিবাদ শুরু হয়। হিশাম জানান, তমার আগের দুই বিয়ের খবর জেনে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। তবু সংসার টিকিয়ে রাখতে সব কিছু মেনে নিয়েছিলেন।

হিশাম চিশতি বলেন, তমাদের একটি স্বর্ণের দোকানের শেয়ার ছিল। আমার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা ধার নিয়ে তারা সেখানে বিনিয়োগ করতে চেয়েছিলেন। সেখান থেকে আয় করে তারা সংসার চালাবেন বলে জানিয়েছিলেন। শুরুতে আপত্তি করলেও তমার চাপে তার পরিবারকে ওই টাকা দিতে তিনি বাধ্য হন।

হিশাম বলেন, সেই টাকা দেওয়ার পরও তাদের চাহিদা কমেনি। প্রতি মাসে সংসার খরচ বাবদ তারা মোটা অঙ্কের টাকা নিতে থাকেন। এর বাইরে তমার ভাইয়ের খরচ, বাবা-মায়ের চিকিৎসা, বাসার পোষা কুকুরের খাবার খরচসহ নানা খাতে, নানা অজুহাতে তারা টাকা চাইতেই থাকেন। বাংলাদেশে আসার পর বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নেন তমা। স্ত্রী হিসেবে তিনি শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে থাকতে রাজি হচ্ছিলেন না।

হিশাম জানান, এসব নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে শুরু হয় তীব্র টানাপড়েন। একপর্যায়ে তাদের টাকার চাহিদাও বাড়তে থাকে। এ সময় হিশাম ধরে নেন, তার ধার দেওয়া ২০ লাখ টাকা ব্যবসায় খাটানো হয়নি; বরং বিলাসিতায় ওড়ানো হয়েছে।

তিনি তমার কাছে সেই টাকার হিসাব চান এবং তমার পরিবারকে জানান, আর নয়। তমাকে তিনি কানাডা নিয়ে যাবেন এবং সংসার খরচের জন্য মাসে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকার বাইরে কিছুই দেবেন না। এতেই তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে শ্বশুরবাড়ির সবাই মিলে তাকে মারধর করেন বলে জানান হিশাম চিশতি।

 

এদিকে তমা মির্জা এসব দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। গণমাধ্যমকে তিনি বলছেন, আমার আয়ের টাকা কেন আমি আমার পরিবারকে দিই, এটা নিয়ে নানা কথা শুনতে হতো আমাকে। শুধু কি তা-ই, আমাকে কাজ করতেও বাধা দেয় সে। আমার কাছ থেকে টাকা নিতে ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করে। তার কাছ থেকে আমার পরিবার টাকা ধার নেবে কেন! কানাডা থেকে দেশে এলে সে তো আমার টাকায় চলে। আমি টাকা না দিতে চাইলে টর্চার করে। তার টর্চারের কারণেই একটা সময় শ্বশুরবাড়ি থেকে আমি বাবার বাসায় চলে আসি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71