বিদেশী বিনিয়োগ, রপ্তাণী বাণিজ্য বৃদ্ধি কিংবা প্রবাসে বাংলাদেশি ব্যবসায় সহযোগিতা- অর্থনৈতিক কূটনীতির কোন ক্ষেত্রে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলো।
অনেকের অভিযোগ, মিশনগুলোতে বাংলাদেশের কূটনীতিকরা ভিআইপিদের প্রটোকল দেওয়া নিয়েই বেশি ব্যস্ত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কূটনৈতিকদের একাডেমিক প্রশিক্ষণ, ভাষাগত দক্ষতা এবং সর্বোপরি জবাবদিহিতার আওতায় আনতে না পারলে অর্থনৈতিক কূটনীতিতে পিছিয়ে পড়তে পারে বাংলাদেশ।
একটা সময় একটি দেশের সঙ্গে আরেকটি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অন্যতম লক্ষ্ই ছিলো বন্ধুত্ব। এখনো আছে। তবে সেই বন্ধূত্বের পেছনে ওতোপ্রতভাবে জড়িয়েছে ক্ষমতার রাজনীতি এবং অর্থনীতি। অন্যভাবে হালের কূটনীতির কথা বলতে গেলে, অর্থনৈতিক সম্পর্কের দ্বারাই নির্ধারিত হচ্ছে দু-দেশের বন্ধূত্ব।
অর্থনৈতিক কূটনীতি। এর সাফল্যের উপরই নির্ভর করছে একটি দেশের বৈদেশিক বানিজ্য ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি।
ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশী রাষ্ট্রদূতরা যখন নিজ দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে কখনো প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে, কখনো সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে, আবার কখনো বা ব্যবসায়ীদের দপ্তরে ঘুরছেন, তখন বিদেশের মাটিতে কতটুকু তৎপর বাংলাদেশের কূটনীতিকরা? এ প্রশ্ন আছে বিভিন্ন মহলে।