মিডিয়ার বিয়ে খুব বেশিদিন টিকেনা। এই কথাটি শোবিজ তারকারা মানতে নারাজ হলেও বিভীষিকাময় এই বছরেও অনেক শোবিজ তারকার সংসারে বেজেছে বিচ্ছেদের সুর। বিয়ের মাস-বছর না পেরুতেই দ্বন্দ্ব, কলহ শেষমেষ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাচ্ছেন এ অঙ্গনের অনেকেই।
নাটকের জনপ্রিয় তারকা অপূর্বর বিচ্ছেদ হয় করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই। বিয়ের নয় বছরের মাথায় নাজিয়া হাসান অদিতির সঙ্গে অপূর্বের বিচ্ছেদ ঘটে। নিজেদের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিচ্ছেদের খবর জানান তারা। জায়ান ফারুক আয়াশ নামে এক পুত্র সন্তানও রয়েছে তাদের। এর আগে অভিনেত্রী প্রভার সঙ্গে বিয়ে হয় অপূর্বর। ২০১১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সেটাও বিচ্ছেদ হয়।
“বনিবনা হচ্ছে না’ এমন কারণ দেখিয়ে চিত্রনায়িকা শাবনূর ও স্বামী অনিকের প্রায় আট বছরের সংসার জীবন ভেঙে যায়। চলতি বছর ২৬ জানুয়ারি স্বামীকে তালাক দেন শাবনূর। পুত্র আইজান নিহানকে নিয়ে বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন।
তিন বছর প্রেম শেষে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে হারুন অর রশীদ অপুর সঙ্গে আংটি বদল করেন শবনম ফারিয়া। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে জমকালো আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন এ অভিনেত্রী। কিন্তু বেশি দিন করা হলো না সংসার। ২৭ নভেম্বর বিচ্ছেদপত্রে সই করেন অপু-ফারিয়া।
এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা মুনমুনেরও বিচ্ছেদ হয়েছে এ বছর। ২০০৯ সালে মোশাররফ হোসেন নামে এক অভিনেতাকে বিয়ে করেছিলেন মুনমুন। সালমান ও যশ নামে দুই পুত্র সন্তান রয়েছে তাদের
বছরের শেষে এসে ঘর ভাঙ্গার খবর দেন চিত্রনায়িকা তমা মির্জা। ২০১৯ সালের মে মাসে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডীয় ব্যবসায়ী হিশাম চিশতির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তমা। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় এসে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন তারা। একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় মামলাও করেছেন।
চিত্রনায়িকা পরীমণি ও মাহিয়া মাহির সংসারে বিচ্ছিন্নতার গুজব ছড়ালোও এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না তারা। এ বছরই স্ত্রীর মামলায় কারাগারে যেতে হয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমনকে।