ঢাকাই সিনেমায় হতাশায় কাটলো আরও একটি বছর। কোমায় থাকা এই চলচ্চিত্রাঙ্গনকে আরো একধাপ পিছিয়েছে অদৃশ্য করোনা ভাইরাস। ৫২ সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে মাত্র ১৬টি সিনেমা। সেখানেও নেই ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র।
টানা সাতমাস বন্ধ থাকায় লোকসানগুনে স্থায়ীভাবে তালা পড়েছে দেশের অনেক প্রেক্ষাগৃহে। এমনসব হতাশার মাঝেও ববিতা, জয়া আহসান ও পরীমনি দিয়েছেন বেশকিছু সুখবর।
করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর আগে ২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সেলুলয়েডের রুপালি পর্দায় মাত্র পাঁচটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল। ছবিগুলো হলো- ‘জয় নগরের জমিদার’, ‘গণ্ডি’, ‘বীর’, ‘হলুদবনি’ ও ‘শাহেনশাহ’।
১৮ই মার্চ থেকে ১৬ই অক্টোবর প্রায় সাতমাস বন্ধ থাকার পর দেশের প্রায় ৪০টি সিনেমা হলে মুক্তি পায় “সাহসী হিরো আলম” সিনেমা। দীর্ঘদিন পর হল খুললেও বড় বাজেটের সিনেমা না পেয়ে হল মালিকদের হতে হয় হতাশ।তারপর ২৩ অক্টোবর মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের উনপঞ্চাশ বাতাশ সিনেমা দিয়ে খোলে দেশের মাল্টিপ্লেক্সগুলো।
ব্যবসা সফল না হলেও সিনেমাটি হয় প্রসংশিত। বছর শেষে তানভীর মোকাম্মেলের রুপসা নদীর বাঁকে, চয়নিকা চৌধুরীর বিশ্বসুন্দরীসহ মোট ১৬টি সিনেমা দেখে আলোর মুখ। এই যখন বাস্তবতা তখন ২০২০ এ ক্ষতির অংকটা ছাড়িয়েছে প্রায় হাজার কোটি টাকা।
বছরজুড়ে সিনেমার শুটিং এ সরব না থাকলেও বিএফডিসিতে সংগঠনভিত্তিক দ্বন্দ্ব ছিল চরমে। তবে এমনসব হতাশার গল্পের মাঝেও হল বাঁচাতে, সরকারের ১ হাজার কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে হলমালিকদের।
এছাড়াও আমেরিকার বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বস এ ১০০ ডিজিটাল তারকার নামের তালিকায় পরীমনির অন্তর্ভূক্তি, মাদ্রিদ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব এ শ্রেষ্ঠ নারী অভিনয়শিল্পী বিভাগে জয়া আহসানের পুরস্কারপ্রাপ্তি কিংবা উইকিপিডিয়ায় সাত ভাষায় ববিতা তথ্য পাওয়ার খবর স্বত্বিদেয় ভঙ্গুর প্রাঙ্গণকেও।