নাকের দু’টি গহ্বরে মাংসপিণ্ড বাড়তে বাড়তে এমন অবস্থা যে, শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। সার্জারি যে এই রোগের একমাত্র পথ, তা নয়। বরং আগেভাগে সচেতন হলে সার্জারির দরকারও পড়ে না। নাকের পলিপ বা নেজাল পলিপের দৃষ্টান্ত কম নয়। তবে শরীরের অন্য অংশেও পলিপ হতে পারে।
পলিপ কী?
শরীরের যে নালি বা গ্রন্থিগুলি টিউবের আকারবিশিষ্ট, তাদের মধ্যেই সাধারণত পলিপের জন্ম হয়। এটি এক ধরণের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। এই মাংসপিণ্ডের গায়ে মিউকাস মেমব্রেন, অসংখ্য রক্তনালি থাকে।
কোন কোন অঙ্গে পলিপ হতে পারে?
নাক: নাকের দু’টি গহ্বরে পলিপ হওয়ার ঘটনা খুব চেনা। অনেক সময়ে পলিপ আকারে এত বড় হয়ে যায় যে, নাকের একটি গহ্বর প্রায় বন্ধ করে দেয়। সাইনোসাইটিসের নানা উপসর্গ যেমন, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, বারবার জ্বর, সর্দি, শ্বাস নিতে না পারা পলিপ হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
কোলন ও রেক্টাম: নেজাল পলিপের মতো কোলনের পলিপও খুব বেশি দেখা যায়। নাকের পলিপ বাইরে থেকে দেখা গেলেও, কোলনের পলিপ বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। রেক্টাম বা পায়ুদ্বারেও এটি হতে পারে। তাই এই দু’টি ক্ষেত্রে রোগী অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে আসতে পারেন।
চিকিৎসার প্রাথমিক শর্ত
পলিপ থাকা মানেই তা কেটে বাদ দিতে হবে, এমন নয়। তবে শরীরে তা অন্য সমস্যা তৈরি করলে চিকিৎসকের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করতে হবে। কোলনের পলিপ অনেক সময়ে ক্যানসারে পরিণত হয়। সে সম্পর্কেও সচেতন থাকতে হবে। যে কোনও ধরনের পলিপে ক্যানসারের আশঙ্কা আছে কি না, তা চিকিৎসকেরা প্রথমেই বোঝার চেষ্টা করেন।
নাকের পলিপের চিকিৎসা
নাকের পলিপ বড় হয়ে গিয়ে বাধা সৃষ্টি করলে তা বাদ দেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। অনেক ক্ষেত্রেই পলিপের আকার বড় হলে স্টেরয়েড স্প্রে আসল জায়গায় পৌঁছতে পারে না। তখন রোগীকে সার্জারি করে পলিপ বাদ দিতে বলা হয়, যাতে পরবর্তী কালে স্টেরয়েড জায়গামতো পৌঁছতে পারে।