কক্সবাজারের টেকনাফে মাদক মামলায় গ্রেফতার একাধিক মামলার আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
এতে খোরশেদ আলম (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তবে নিহতের পরিবারের দাবি, পুলিশের গুলিতে নিহত হন খোরশেদ।
পুলিশের ভাষ্যমতে, এ ঘটনায় শামসুল আলম প্রকাশ ওরফে কালা শামসু নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলার রয়েছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মিঠা পানির ছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. রতন মিয়া (৩১), কনেস্টবল শরিফুল (৪৬) ও বলরাম (২৫)।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাতে মাদক মামলাসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামি শামসুল আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে থানায় নিয়ে আসার পথে হাবিরছাড়া এলাকায় পৌঁছালে তার লোকজন অস্ত্র নিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে শামসুকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি ছোড়ে। এসময় গোলাগুলিতে আহত হন ওই তিন পুলিশ সদস্য।
তিনি আরো জানান, দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তবে সে কার গুলিতে মারা গেছে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আটক শামসুল আলম একজন র্শীষ মাদক ব্যবসায়ী। তাদের দু’ভাইয়ের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জাকারিয়া মাহমুদ বলেন, গুলিবিদ্ধ এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার বুকের বাম পাশে গুলির আঘাত রয়েছে। তবে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে তার মৃত্যু হয়। আহত তিন পুলিশ সদস্যের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে।
ওসি হাফিজুর রহমান জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নিহতের পরিবারের দাবি, পুলিশের হাতে গ্রেফতারের সংবাদ শুনে ব্যাডমিন্টিন খেলা শেষে ঘটনাস্থলে ভাইকে দেখতে ছুটে যান খোরশেদ আলম। এসময় পুলিশের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় সে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।