এক মাসেরও কম সময়ে দ্বিগুন হয়েছে বিটকয়েনের মূল্য। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিটকয়েনের দাম ৪০ হাজার ডলার (২৯ হাজার ৫০০ ইউরো) ছাড়িয়েছে।
চলতি মাসেই এই মুদ্রার দাম বেড়েছে প্রায় ৮৩ শতাংশ। বিটকয়েনের দাম ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সর্বপ্রথম ২০ হাজার ডলার ছাড়ায়। এর পর থেকে বাড়তেই থাকে এর দাম। গত রবিবারে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের মূল্য ছিলো ৩৪ হাজার ৮০০ ডলার।
মূলধারার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই বিটকয়েন। এমনকি বর্তমানে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি স্বর্ণের বিকল্প হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংকের বিশ্লেষক জেপি মরগান বলেন, “সোনার বিকল্প হয়ে উঠতে পারে এই বিটকয়েন। আর তা হলে এর দাম ১ লাখ ৪৬ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।”
সাতোসি নাকামোতো নামের এক জাপানি নাগরিক ২০০৮ সালের শেষ দিকে কম্পিউটারনির্ভর একটি লেনদেন ব্যবস্থা তৈরি করেন। যেটি প্রথাগত মুদ্রার বিকল্প ছিল না। বরং এটি এমন একটি লেনদেন ব্যবস্থা যেখানে কোন তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই লেনদেন করা যায়। এই লেনদেনের হিসাব রাখার জন্য কম্পিউটারে একটি সূচকের ব্যবহার করা হয়, যে সূচকটিই বর্তমানে বিটকয়েন নামে পরিচিত।
বিটকয়েনের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারি ছাড়াই এটি লেনদেন করা যায়। যাঁরা বিটকয়েন কেনেন, তাঁদের বলা হয় ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনার, বিক্রির সময় বিক্রেতার সিলমোহর লাগে। তবে কোনো সরকারি সংস্থার কোনো স্বীকৃতির দরকার হয় না। এ কারণে বিটকয়েনের মাধ্যমে অপরাধমূলক কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটির ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে, যার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।