১.বিনা অনুমতিতে একজন নারী কিংবা ঙৃপুরুষের (একে অপরের) শরীর স্পর্শ করা অন্যায়, শারীরিক সম্পর্ক তো বটেই- এই বোধটা আমাদের নারী কিংবা পুরুষের মধ্যে কিভাবে রোপন করা সম্ভব? একটা মেয়েকে একা পেলে তার উপর ঝাপিয়ে পরা, ভীড়ের মধ্যে তার গায়ে হাত দেয়া কিংবা রাস্তায় অনাকাংকিত মন্তব্য করা যে অপরাধ- এই বোধ একজন পুরুষের মনের ভেতর কি দিয়ে গেঁথে দেয়া যায়!
আমাদের সাহিত্য আছে, সংস্কৃতি আছে, বই নাটক সিনেমা আছে। আমাদের ধর্ম আছে। সমাজে এতো কিছু থাকার পরও কেন একজন নারীকে সারাক্ষণ ভয়ে মিইয়ে থাকতে হবে!
২. নারী কিংবা পুরষ- যাই বলি না কেন, একজন মানুষের মনের গঠনটা তৈরি হয় কোথায়? তার পরিবারে! সমাজে! শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে! টেলিভিশন দেখে? একজন নারী কিংবা পুরুষের বেড়ে ওঠায় কার প্রভাব সবচেয়ে বেশি? কার প্রভাব একজন পুরুষের মনে ধর্ষকের জন্ম দেয়?
৩একটা মেয়েকে দেখলেই অশ্লীল মন্তব্য করা যায়, ভীড়ে গায়ে হাত দেয়া যায়, একা পেলে ধর্ষন করা যায়- এই বোধ ভাবনা একজন পুরুষের মনের ভেতর কিভাবে তৈরি হয়? কে তৈরি করে দেয়?
৪.ধর্ষনের শিকার হয়ে মরে যা্ওয়া মেয়েটার সঙ্গে ধর্ষকের একান্ত সময়ের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে পুরুষেরা দুইজনের মধ্যকার সম্পর্কের প্রমান করতে চান,তাদের মনে আসলে কি আছে? প্রেমের সম্পর্ক থাকলেই কি তার সাথে জবরদস্তি করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অধিকার জন্মে যায়! তা হলে!এই যে পুরুষেরা এটি করছেন- তাদের মনে আসলে ধর্ষকেরই বাস। তারাও আসলে ধর্ষকামী। একটা সমাজে এতো এতো ধর্ষকামী পুরুষের জন্ম হয় কিভাবে?
৫. আমাদের তো সাহিত্য আছে, সংস্কৃতি আছে, এতো এতো টিভি চ্যানেল আছে, সিনেমা আছে। আমাদের তো ধর্ম আছে। তা হলে সমাজে এতো ধর্ষক আর ধর্ষকামী কোত্থেকে আসে?