করোনার কারণে সরকারি নির্দেশনা মেনে এবার কোন ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি করা হচ্ছে না শিক্ষার্থীদের। লটারির মাধ্যমে ভর্তি চলছে। এবার এক বিরল ঘটনার সাক্ষী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়।
অন্যান্য সরকারি স্কুলগুলোর মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে প্রথম ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যালয়টিতে শুধু ছেলেদেরই লেখাপড়া করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু লটারিতে উঠে এলো এক মেয়ে শিক্ষার্থীর নাম।
লটারিতে উঠা মেয়েটির নাম বর্ষা আক্তার প্রথম শ্রেণিতে মর্নিং শিফটে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত নয়, বর্ষা আক্তার ছেলে নাকি মেয়ে। তবে বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে সমালোচনায় মেতেছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, সোমবার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে চলতি বছর প্রথম ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য লটারির মাধ্যমে মনোনীত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। মেয়ে হয়েও ছেলেদের ওই তালিকার ২৩ নম্বরে স্থান পেয়েছে বর্ষা আক্তারের নাম। এছাড়া কয়েকজন শিক্ষার্থীর নাম একাধিকবার উঠেছে তালিকায়। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজনীন বলেন, বর্ষা আক্তারের নামটি আমাদেরও চোখে পড়েছে। আমরা ভর্তি কার্যক্রম শুরুর পর জন্ম সনদ দেখে বলতে পারব এটি মেয়ে নাকি ছেলে। আগামী বৃহস্পতিবার আমাদের ভর্তি কমিটির মিটিং। তবে আমাদের ধারণা, যেহেতেু এক শিক্ষার্থী আবেদনে পাঁচটি স্কুল নির্বাচন করতে পারে- হয়তো কোনো মেয়ে শিক্ষার্থী ভুল করে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ও নির্বাচন করেছে।