ঘরে বসে পড়ছিলেন ছাত্রী ছালমা। ঘরের জানালা কিছুটা খোলা ছিল। একটি ছিদ্র দিয়ে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ ঢুকিয়ে হঠাৎ মুখমণ্ডলে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। মেয়েটি চিৎকার করে ওঠে। বাড়ির লোকজন এসে মেয়েটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। মুখে ক্ষত নিয়ে মেয়েটি বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
অ্যাসিড নিক্ষেপ ঝলসে যাওয়ার মেয়েটির বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শিবা গ্রামে। তিনি চরফ্যাশনের রহিমা ইসলাম ডিগ্রি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। পুরো নাম ছালমা আক্তার।
চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শোভন কুমার বসাক জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মেয়েটি চিকিৎসাধীন। তাঁর মুখে অ্যাসিড ছোড়ার কারণে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, এ ঘটনায় ছাত্রীর পিতা আবদুল খালেক বাদী হয়ে শুক্রবার দুই যুবককে আসামি করে চরফ্যাশন থানায় মামলা করেছে। জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে অ্যাসিড সন্ত্রাসের ঘটনাটি ঘটেছে। দক্ষিণ শিবা গ্রামের বেলায়েত হোসেন ও হানিফ মাঝিকে এ মামলার আসামি করা হয়েছে। তাঁরা ছাত্রীর ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগে বলা হয়।
ছালমা আক্তার বলেন, অ্যাসিডে তাঁর মুখের ডান পাশের বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গায়ে শীতের কাপড় মোড়ানো থাকায় শরীরের অন্যান্য অংশ রক্ষা পায়। তবে কাপড় পুড়ে গেছে। সিরিঞ্জ দিয়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে বেলায়েত ও হানিফকে পালিয়ে যেতে দেখেন তিনি।
ছালমার বাবা আবদুল খালেক সিকদার বলেন, আবদুল্লাহপুরের মিনা বাজারে দোকানঘরের জমি নিয়ে আসামিদের সঙ্গে তাঁদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।