স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তি পালনের দ্বারপ্রান্তে এসে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের চুড়ান্ত সুপারিশ পেলো বাংলাদেশ। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য সুপারিশ করেছে। এইলক্ষে পৌছাতে বাংলাদেশ সময় পাবে আগামি ৫ বছর। আজ বিকেল ৪ টায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশকে বলা হত তলাবিহীন ঝুড়ি। ১৯৭৫ সাল থেকে এতদিন সল্পোন্নত দেশের কাতারে থাকা বাংলাদেশ ২০১৫ সালে প্রথম নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়।
জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি সিডিপির ত্রিবার্ষিক সভায় এবার জানানো হল উন্নয়নেশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতেই এক অনন্য উচ্চতায় উঠল বাংলাদেশ।
সিপিডির ত্রিবার্ষিক সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত আসে বাংলাদেশের পক্ষে।এখন পাঁচ বছরের প্রস্তুতিকাল শেষে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠবে বাংলাদেশ।
উন্নয়নশীল দেশ হতে হলে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হয় কমপক্ষে ১২৩০ মার্কিন ডলার। সেখানে ২০২০ সালেই বাংলাদেশের ছিল ১৮২৭ মার্কিন ডলার। টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা বর্তমান সরকারের যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়নের ফলে অর্থনীতিতে বিশ্বের বিস্ময় বাংলাদেশ।
তবে এই অর্জনের ফলে বাংলাদেশ বাণিজ্যে যে সব অগ্রাধিকার পায় তার অনেকটাই হারানোর শঙ্কা রয়েছে। উন্নয়ন সহযোগীরা বাংলাদেশকে কম সুদ ও সহজ শর্তে যে ঋণ দেয় তা হারাবে বাংলাদেশ। তবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠা বাংলাদেশের জন্য বিশেষ মর্যাদার বিষয়। মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ধারা তিন সূচকেই ঈর্ষনীয় সাফল্য এখন বাংলাদেশের।