দশ বছরে সাড়ে চার গুন বেড়েছে বৈদিশিক মুদ্রার রিজার্ভ। ২০০৯-১০ এ ১০ বিলিয়ন রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ছাড়িয়ে গেছে ৪৪ বিলিয়নের ঘর। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে জমাকৃত বৈদিশিক মুদ্রা দিয়ে এক বছরের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনায় আমদানি কমে যাওয়ায় বাড়ছে বৈদিশিক মুদ্রার রিজার্ভ। আমদানি কার্যক্রম সহ ব্যবসায়ীক পরিবেশ দ্রুত স্বাভাবিক করার পরামর্শ তাদের।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা প্রায় এক কোটির অধিক প্রবাসির পাঠানো অর্থে শক্তিশালি হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। করোনা মহামারিতে যখন অস্বস্তিতে বিশ্বের অর্থনীতি তখনও নতুন নতুন রেকর্ডের জন্ম দিচ্ছে রেমিট্যান্স আর রিজার্ভ।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স আর বৈদিশিক সহায়তা সব মিলে অন্যন্য উচ্চতায় বৈদিশিক মুদ্রার রিজার্ভ। দশ বছর আগে ২০০৯-১০ অর্থবছরের জুনে কেন্দ্রিয় ব্যাংকের রিজার্ভ ছিলো ১০.৭৫ বিলিয়ন ডলার, সেই রেমিট্যান্স ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০১৩-১৪ সালে। তার থেকেও প্রায় পাঁচ বছর পর ২০১৯ এ রেমিট্যান্স ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়।
এরপর মাত্র বছরের ব্যবধানে ২০২০ এর অক্টোবরে রেমিট্যান্স ছাড়ায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের ঘর। করোনার গতি বেড়েছে রেমিট্যান্সের, সবশেষ ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ তা ৪৪ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে। তবে শঙ্কার জায়গা আমদানি কমে যাওয়া। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি দ্রুত চাঙ্গা করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
নীতি নির্ধারকদের অবশ্য বলছেন, শক্তিশালি অর্থনীতির পরিচয় বহণ করছে রেমিট্যান্স।
এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪৯০ কোটি ডলার, যার প্রবৃদ্ধি ৩৫ শতাংশ।