মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে ৭৫০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ উদ্ধার কাজ এখনও শুরু হয়নি। এ বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেছেন, মঙ্গলবার থেকে জাহাজটির উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হবে।
উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যে বরিশাল থেকে একটি উদ্ধারকারী ক্রেন মোংলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।জাহাজটি উদ্ধার কাজ শুরু না হলেও ঘটনাস্থলে মার্কিংয়ের ব্যবস্থা করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) মোংলার আহবায়ক নুর আলম শেখ বলেন, সুন্দরবনের কাছকাছি পশুর নদে
কয়লাবাহী একটি কার্গো জাহাজ ডুবেছে। যেহেতু কয়লা একটি বিষাক্ত পদার্থ এটি নদীতে ছড়িয়ে পড়লে নদীর মাছসহ জলজপ্রাণীর মারাত্মক ক্ষতি হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রতি বছরই এই পশুর নদে কয়লা, তেল ও সার নিয়ে জাহাজ ডুবছে এসব ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের আরো সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
ডুবন্ত কার্গো জাহাজের মাস্টার ওসমান আলী জানান, ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রায় ৭শ মেট্টিক টন কয়লা নিয়ে কার্গো জাহাজ এম,ভি বিবি-১১৪৮ তলা ফেটে পশুর নদে ডুবে যায়। বন্দরের হাড়বাড়িয়ায় অবস্থানরত একটি বিদেশি জাহাজ থেকে কয়লা নিয়ে যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথিমধ্যে রাত ১১টার দিকে পশুর নদের বানীশান্তা ও কানাইনগর এলাকায় পৌঁছালে তলা ফেটে জাহাজটি ডুবে যায়। তবে এ সময় ওই জাহাজের মাস্টারসহ ১২ জন নাবিক সাঁতরিয়ে নদীর কুলে উঠে যায়।
জাহাজটি উদ্ধার কাজ শুরু না হলেও ঘটনাস্থলে মার্কিংয়ের ব্যবস্থা করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ডুবন্ত নৌযানটি মোংলা নালা থেকে প্রায় ১ নটিক্যাল মাইল দূরে এবং বন্দরের মূল চ্যানেলের বাহিরে রয়েছে। ফলে ওই চ্যানেল দিয়ে বিদেশি জাহাজসহ সকল ধরনের নৌযান চলাচল স্বাভাবিক
রয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দরের হারবার বিভাগ। তবে কার্গো জাহাজটি ডুবে যাওয়ার পর পুরো দুইদিন পেরিয়ে গেলেও ডুবন্ত কার্গোটির উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কার্গো জাহাজের মালিকপক্ষ।