জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন সেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতা অপব্যবহার, অর্থ আত্মসাৎ এবং রেজুলেশন জালিয়াতি করে সহকারী অধ্যাপক পদে পদায়ন সহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্বেও দশমিনা সরকারি আব্দুর রসিদ তালুকদার কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদের দায়িত্ব ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মামলায়
হেরে পদ হারানো সুচেতা দাস। মাউশি’র একপত্রের বিরুদ্ধে ইউএনওসহ ৬ জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা ও নিষেধাজ্ঞার প্রায় ১৪ মাস পর অবমুক্ত (ভ্যাকেট) হওয়াতে নিজেই পদ হারিয়ে পুনরায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হওয়ার জন্য জেলা জজ আদালতে সিভিল রিভিশন করেছেন সুচেতা দাস। বর্তমানে
কলেজে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষে দায়িত্বে আছেন। স্থানীয় ও কলেজ সূত্রে জানা যায়, দশমিনা সরকারি আব্দুর রশিদ তালুকদার ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুচেতা দাস সরকারি বিধি বিধান লঙ্ঘন করে দায়িত্ব গ্রহন করায় ২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি যথাযথ কতৃপক্ষের মাধ্যমে অপসারিত হন। ২০১৮ সালের ১০ জুন সুচেতা দাস বিধি বহির্ভূতভাবে নবম জ্যেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে ওই প্রতিষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষে দায়িত্ব গ্রহণ
করেন। এ ছাড়া সুচেতার বিরুদ্ধে সেচ্ছচারিতা, ক্ষমতা অপব্যবহার, এছাড়া ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুচেতা দাসের বিরুদ্ধে ওই কলেজের জ্যৈষ্ঠ শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান ও আবু জাফরসহ একাধিক শিক্ষক ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের লিখিতভাবে দুর্নীতি দমন কমিশনের
চেয়ারম্যানের বরাবরে অভিযোগ করেন। একটি সমর্থিত সুত্রে জানান, আনিত অভিযোগগুলো তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মাহমুদ উল্লাহ ও আফজাল হোসেন জানান, সুচেতা দাসের মত এহেন শৃঙ্খলা বিরোধী ও পেশাগত অনিয়মের সংঙ্গে অত্র কলেজের কোন শিক্ষক কর্মচারি জড়িত নয়। কলেজের ২জন শিক্ষক ব্যতিরিকে সকল শিক্ষক স্বাক্ষরিত অভিযোগ কলেজ পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে জমা দিয়েছে। অর্থ আত্মসাৎ ও তছরুপ এবং রেজুলেশন জালিয়াতি করে সহকারি অধ্যাপক পদে পদায়নের বিষয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঢাকা কর্তৃক ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর এর একটি অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে। অচিরেই তার দুর্নীতির মুখোশ উম্মচিত হবে। এ ব্যপারে জানতে সুচেতা দাসের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।