পটুয়াখালীর গলাচিপায় দখল ও দূষণের কবলে পৌর এলাকায় পুকুর ও জলাশয়। এক সময় শতাধিক পুকুর ও জলাশয় থাকলেও এর অধিকাংশই এখন হয়ে পড়েছে অস্তিত্বহীন। বর্তমানে যে কয়টি পুকুরের অস্তিত্ব রয়েছে তার অধিকাংশের পানিই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এক সময়ের গলাচিপা শহরের প্রাণ রামনাবাদ নদী থেকে বদনাতলী, উলানিয়া বন্দরে লঞ্চসহ বিশাল আকারের নৌকা যাতায়াত করত। জলাধার সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করে গলাচিপা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এ খালে প্রথম বাঁধ দেয়। পানি যথাযথভাবে যাতায়াত করতে না পারায় এটি এখন একটি আগাছায় পরিপূর্ণ একটি বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত হয়েছে।
যা অনেকটা বৃহদাকারের ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। খোদ পৌর কর্তৃপক্ষ খালটিতে বর্জ্য ফেলে ভরাট করছে। দুপাশের বাসিন্দারাও এর বতিক্রম নয়। এ অবস্থা বিরাজ করায় জলাশয় সংরক্ষণে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। তবে গলাচিপা শহরের খাল সম্পর্কে পৌর মেয়র আহসানুল হক তুহিন জানান, অনতিবিলম্বে এটি সংস্কার ও পরিচ্ছন্ন করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে সরকারি যে কয়টি জলাধার এখনো ব্যবহারযোগ্য রয়েছে তা হলো, উপজেলা পরিষদের দিঘি, জেলা পরিষদের পুকুর, ভূমি দপ্তরের ৩টি, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২টি ও গলাচিপা ডিগ্রি কলেজের ২টি। গত কয়েক বছর ধরে ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুরগুলো দেদার ভরাট হয়ে গেছে। সেসব ভরাটকৃত স্থানে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা বাড়ি-ঘর। আগে যেখানে মানুষ একটু শীতল পরশ পেতে পুকুরপাড়ে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিত সেখানে এখন ছড়াচ্ছে উত্তাপ।
এদিকে শহরের পুকুর ও জলাশয় ভরাট করার পর যে কয়েটি এখনো টিকে আছে তাও ভরাট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। গলাচিপা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, যেসব সরকারি পুকুর ইতোমধ্যেই বেদখল হয়ে আছে। উচ্ছেদের জন্য অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।