অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হবে কিনা, তা জানতে দিনাজপুরে সম্ভাব্য লোহার খনিতে যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। গেল ১২ মার্চ একটি অনুসন্ধানী দল ওই এলাকায় কাজ শুরু করে। ভূ-তাত্বিক জরিপ অধিদপ্তর-জিএসবি এরইমধ্যে খনি এলাকা চিহ্নিত করেছে।
খনি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেলে ওই অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাবে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় মানুষ।
কয়লা ও কঠিন শিলার পর, দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে চিহ্নিত করা হলো লোহার খনি। উপজেলার পুনট্টি ইউনিয়নের কেশবপুর মৌজায় এই খনির সন্ধান মেলে।
এরই মধ্যে, সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য কূপ খননের কাজও শুরু করেছে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর।
লোহার সঙ্গে এই খনিতে তামা ও অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ পাওয়ার আশাও করছেন সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয় মানুষ মনে করছেন, লোহার খনি হলে এই এলাকার আর্থ-সামাজিক চিত্র বদলে যাবে।
সঠিক পদ্ধতিতে এলাকার ক্ষতি না করে খনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
প্রথম অবস্থায় তিন থেকে চার মাস খনির সম্ভাব্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চলবে। ভালো পরিমানে খনিজ সম্পদের উপস্থিতি পাওয়া গেলে নিয়ম মেনে জমি অধিগ্রহণসহ সব ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ ভূ-তাত্বিক জরিপ অধিদপ্তর এই অঞ্চলের মাটি পরীক্ষা করে ২০০১ সালে লৌহ জাতিয় খনিজ পদার্থের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়।