করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় মারা গেলেন দেশের জনপ্রিয় বরেণ্য রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা হক (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার (১১ এপ্রিল) সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মিতা হকের জামাতা অভিনেতা মোস্তাফিজ শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, মিতা হক সকাল ৬.২০ এ চলে গেলেন। চলেই গেলেন। সবাই ভালোবাসা আর প্রার্থনায় রাখবেন।
মিতা হকের ননদাই শিল্পী সোহরাব উদ্দিন জানান, গত ২৫ মার্চ মিতা হকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এ কয়েকদিন তিনি বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন। গত ৩১ মার্চ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসার পর করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে। পরে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি কিডনির রোগী হওয়ার কারণে তাকে ডায়লাইসিস করতে হতো।
শনিবার ডায়লাইসিসের সময় তার প্রেশার ফল করে। এরপর তাকে বাসায় নেওয়ার পরও প্রেশার ফল করে। সে সময় হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা জানান, মিতা হক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। অবস্থার অবনতি দেখে মিতা হককে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। কিন্তু তবুও শেষ রক্ষা হলো না। সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন তিনি।
মিতা হকের জন্ম ১৯৬২ সালে। তিনি বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শিল্পী। সঙ্গীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে।
তিনি সুরতীর্থ নামে একটি সঙ্গীত প্রশিক্ষণ দল গঠন করেন যেখানে তিনি পরিচালক ও প্রশিক্ষকে হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়া তিনি ছায়ানটের রবীন্দ্রসঙ্গীত বিভাগের প্রধান ছিলেন।