হেফাজতে ইসলাম দেশের বড় একটি অরাজনৈতিক দল। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করা হেফাজতে ইসলাম ২০২১ সালে এসে প্রায় ১১ বছরে দাড়িয়েছে।
আজ পর্যন্ত কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না কোনো দলের বা পার্টির সঙ্গে হেফাজতের সম্পর্ক ছিল বা আছে এমন কথা জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। কোনও দল বা রাজনৈতিক দলের স্বার্থ রক্ষায় হেফাজত আন্দোলন করে না বলেও জানান তিনি। সোমবার রাতে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডিভিও বার্তায় বাবুনগরী বলেন, ‘বায়তুল মোকাররমে ওই দিন সন্ত্রাসীরা মুসল্লিদের উপর হামলা চালিয়েছে।ক্যাডাররা মুসল্লিদের মারধর করেছে। এরপর হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘাতের এ ঘটনা ঘটে। তারপরও এ ঘটনার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।
তিনি বলেন, ২৬ মার্চ হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না। আমাদের কোনো কমান্ড ছিল না। আমি নিজে হাটহাজারী মাদ্রাসায় ছিলাম না, দূরে সফরে ছিলাম। এর আগে ঢাকার বায়তুল মোকাররমে কিছু মুসল্লি এবং ক্যাডারের মাঝখানে কিছু অঘটন ঘটেছে। বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভিতরে ক্যাডাররা মুসল্লিদেরকে মারধর করেছে।
এর পরে হাটহাজারীর ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আমরা দুঃখিত। আবার বাহ্মণবাড়িয়ায়ও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে হেফাজত আমির দাবি করেন।
বাবুনগরী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে আমাদের কোন কর্মসূচি ছিল না। তবে কিছু আলেম গরম বক্তব্য দিয়েছেন এটা সত্য। কিন্তু হেফাজতে ইসলাম সংঘাতে জড়াতে চায় না। সংঘাতও পছন্দ করে না। হেফাজতে ইসলাম দেশের একটি বড় অরাজনৈতিক দল।
ভিডিও বার্তায় হেফাজত আমির আল্লামা বাবুনগরী বলেন, হেফাজত শান্তি-শৃঙ্খলা চায়। কোনো অশান্তি বা বিশৃঙ্খলায় যেতে চায় না। হেফাজত কোনো সংঘাতেও যেতে চায় না।
কাউকে ক্ষমতায় বসানো বা কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানো হেফাজতের উদ্দেশ্য নয়। কোনো পার্টি বা দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন হেফাজত ইসলামের উদ্দেশ্য নয়। হেফাজতের উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর জমিনে হযরত মুহাম্মদ (স:) এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা। এই হল হেফাজতের অবস্থান।
হেফাজতে ইসলামের আমির বলেন, সারা দেশে গণহারে আলমদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। তাই গণ গ্রেফতার বন্ধের দাবি করছি। দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছি। গ্রেফতারকৃত আলেমদের মুক্তির দাবি করছি।