বরগুনা সদর উপজেলার ৮ নং বরগুনা সদর ইউনিয়নের উত্তর হেউলিবুনিয়া গ্রামের মৃত মোক্তার আলী মৃধার ছেলে আয়নাল মৃধা-৭৫ কে তারই ঔরসজাত সন্তান জামাল মীর-৩০ এর হাতে খুন হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) হেউলিবুনিয়ার আয়নাল মৃধার নিজের বাড়ির (মীরা বাড়ি) উঠনে বিকেল ৫ টার দিকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। জানাগেছে, হত্যার শিকার আয়নালের দুই স্ত্রী। তার প্রথম ঘরে দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। দ্বিতীয় ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে। আয়নাল মেয়েদের বিয়ের পাশাপাশি সমান হারে জমিও ভাগ করে দিয়েছেন।
ছেলেদের সংসারও ভিন্ন ভিন্ন। প্রথম স্ত্রী আনোয়ারা মেয়ে জামাই বাড়ি ঘুরে বেড়ালেও দ্বিতীয় স্ত্রী দুলু তার নিজের ছেলের কাছেই থাকেন। আর আয়নাল এক মাস করে প্রত্যেক ছেলের ঘরে খেতেন। একসময় প্রথম ঘরের ছোট ছেলে জামাল; বাবা আয়নালকে খাওয়াবেন না বলে জানিয়ে দেয়। বাবাও বলে দিয়েছেন না খাওয়ালে আমার জমিও পাবেনা।
সেই সাথে জমিতে চাষের জন্য ডাল ফেলতেও নিষেধ করেন। আর এই সূত্র ধরেই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন আয়নালের অন্য সন্তানরা। হত্যাকান্ডের সময় বাড়িতে ও প্রতিবেশিরা কেউ ছিলেন না। ফলে ঘটনাস্থলে হত্যাকান্ডের সঠিক বর্ণনা এখনও পাওয়া যায়নি।
খুন হওয়ার দিন আয়নাল রোজা রেখেছিলেন। বিকেলে খুন হওয়ার পরে তার পড়নে লুঙ্গির ভাঁজে একটি কেক ও ৫ টি টাকা পাওয়া গেছে। রোজা হয়তো আর খুলবেন না আয়নাল। এমন কুলাঙ্গার সন্তান জন্ম নিলে পঁচাত্তর বছর বয়সে এসেও পাঁচ টাকার কেক দিয়েও ইফতার করার সৌভাগ্যটুকুও কেড়ে নেয়। এমন ঘৃণ্য ঘটনার সঠিক তদন্ত করে বিচার হবে আদালতে। এমন প্রত্যাশা করছেন এলাকাবাসী ও আত্মীয়-স্বজনরা।
এ হত্যাকান্ডের বিষয়ে বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জ কে, এম, তারিকুল ইসলাম জানান, বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল থেকে জামাল মীরকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হবে। অন্যদিকে, আয়নালের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।