শনিবার সকালে পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরসভার রাস্তায় বেড়া দিয়ে চলার পথ বন্ধ করে দিয়েছে একটি চক্র। ঘটনাটি ঘটেছে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মুজিবনগর এলাকায়। রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় পৌরসভার ৭টি পরিবারের মানুষজন ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে।
ঘরবন্দী পরিবারগুলোর মধ্যে গলাচিপা মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও সাংবাদিক মো. হারুন অর রশিদ, দলিল লেখক মো. মজিবর রহমান, ব্যবসায়ী বশির মৃধা, আনোয়ার গাজী প্রমুখ। সূত্র জানায়, গলাচিপা পৌরসভার মুজিবনগর রোড এলাকার সাবেক সিনিয়র শিক্ষক (বাংলা) সুলতান আহম্মেদের বাসার পূর্ব পাশের দক্ষিনমুখী রাস্তা দিয়ে ২৫ পরিবারের শতাধিক মানুষ দীর্ঘদিন চলাচল করে আসছে। ২০১০-১১ অর্থ বছরে গলাচিপা পৌরসভা বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে এই রাস্তা নির্মান করা হয়েছে।
এরপর প্রভাষক ও সাংবাদিক মো. হারুন অর রশিদ তার নিজ উদ্যোগে রাস্তাটিতে ইট, বালু ও সুড়কি দিয়ে একাধিকবার সংস্কার করেন। কিন্তু রাস্তার পার্শ্ববর্তী দুই-তিন জন বাসিন্দা হাটার পথে বিঘেœর সৃষ্টি করে আসছে। ভুক্তভোগী দলিল লেখক মো. মজিবুর রহমান জানান, শনিবার সকালে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিন শেষ প্রান্তে ৭টি পরিবারের চলাচলের পথটি রিপন কর্মকার ও শিলা কর্মকার কাঠ ও টিনের বেড়া দিয়ে আটকিয়ে দেয়।
বিগত দিনে পৌরসভার রাস্তা দিয়ে চলাচল করার সময় রাস্তার পার্শ্ববর্তী বাসিন্দারা মোটা অংকের টাকা দাবী করে আসছিল।
টাকা পরিশোধ না করলে রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার হুমকিও বারবার জানায়। এই কারনেই শনিবার রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় পৌরসভায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে তারা সমাধান করবে বলে জানান। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে শিলা কর্মকার জানায়, রাস্তার পার্শ্ববর্তী জাহাঙ্গীর গাজী ও জালাল গাজী (রিয়াজ) আমাকে দিয়ে রাস্তায় বেড়া দিতে বাধ্য করেছে। বেড়া না দিলে তাদের রাস্তা দিয়ে আমাদের চলাচল বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়।
এজন্য আমি পৌরসভার রাস্তায় বেড়া দিতে বাধ্য হয়েছি। এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর গাজী বলেন, রাস্তায় কোন বেড়া দেয়া হয়নি। যারা অভিযোগ করছে তারা পৌরসভার বাসিন্দা না। গলাচিপা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহেব আলী মাতুব্বর জানান, পৌরসভার সড়কটি দিয়ে প্রায় ১২-১৫ বছর ধরে মানুষ চলাচল করে আসছে। রাস্তা বন্ধ করার কোনো সুযোগই নাই।
ঘটনাস্থলে গিয়ে সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছি। গলাচিপা পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক তুহিন জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। কাউন্সিলার সহ আমি নিজে গিয়ে সমাধান করব।