পটুয়াখালীর গলাচিপায় করোনাকালে পাননি কোন সহযোগিতা দিন কাটছে খুব কষ্টে। অসহায়ের পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই। তাদের জীবন কাটছে খুব দুঃখ দুর্দশায়। করোনার টাকা সহ অন্য কোন ধরনের সহযোগিতা পায়নি তারা। সরকারি একটি ঘরের জন্য এখনো আশায় বুক বেঁধে আছেন মোসা. মর্জিনা বেগম। অনেক পূরনো ঘর থেকে এখন বৃষ্টি এলেই অঝোরে পানি পরে।
ঐ ঘরে এখন থাকার মতো সাধ্য নাই। মোসা. মর্জিনা বেগম (৪৫) হচ্ছেন উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চারআনি পূর্ব গোলখালী গ্রামের আ. রব এর মেয়ে এবং মো. আবুল চৌকিদারের স্ত্রী। মর্জিনা বেগম বলেন, ২০০৭ সালে সিডরের পর থেকেই কষ্ট করে যাচ্ছি। সিডরের পর রাস্তার মাটি কাটার কাজ পাইছিলাম। এখনো অন্য মানুষের খেতে কাজ করি। সরকার যদি আমাগো একটা ঘর দেয় তাহলে আমরা ঘরে থাকতে পারমু। আমাগো ঘর উঠানোর মতো টাকা পয়সা নাই। স্থানীয়রা বলেন, তারা খুব অসহায় তাদের যদি সরকার একটা ঘর বরাদ্ধ দেয় তাহলে তারা খুব উপকৃত হবে। এখন বর্ষাকাল আইসা গেছে। রাতে বৃষ্টি হলেই কাথা,
বালিশ ভিজে একাকার হয়ে যায়। এই অবস্থায় তারা নতুন ঘর তৈরি বা ঐ পুরান ঘর মেরামত করার মতো কোন অর্থ নেই। এই পরিপেক্ষিতে সরকারের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। এ বিষয়ে গোলখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, আসলেই মর্জিনা বেগম অসহায় গরিব মানুষ। সরকারি একটি ঘর তার পাওয়া দরকার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষ উপলক্ষে অসহায়দের জন্য যে ঘর দিচ্ছে তা অসহায়দের জন্য দেয়ার ব্যবস্থা করছি। যারাই ঘরের জন্য আবেদন করছে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অসহায়দের ঘর দেয়া হচ্ছে।