তীব্র দাবদাহ চলছে সারাদেশে। গত কয়েকদিনের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে কুমিল্লার জনজীবন। একটু প্রশান্তির আশায় মানুষ ছুটছে গাছের ছায়া কিংবা শীতল কোনো স্থানে। গরমের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে শিশুরা পুকুর, ডোবা কিংবা শ্যালো মেশিনের পানিতে দিন পার করছে।মানুষের সাথে সাথে প্রাণীকুলও দেখা গেছে পানি আর শীতল ছায়ার জন্য হাসফাঁস করছে। মানুষ দিনের প্রথমভাগে কাজ শুরু করলেও তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে ধীর গতি আসে কাজে ।
কুমিল্লার আবহাওয়া অফিসের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ইসমাইল হায়দার জানান গত সপ্তাহে দিনের তাপমাত্রা ৩৭-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। দুপুর ১ টা নাগাত কুমিল্লার তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস । আর দক্ষিনে থেকে ১২-১৫ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বইছে । আগামী ২-৩ দিন এ অবস্থা বিরাজ করবে বলে জানান তিনি। তবে শনি ও রোববার জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় গরমে সহ্য করতে না পেরে ফ্যান ছাড়িয়ে দিব্যি শুয়ে অলস জীবন পার করছে দোকানীরা। শুধু মানুষ বা প্রাণীকুল নয়, গরমের প্রভাব পড়ছে গাছ-গাছালিতেও। সোমবার দুপুরে কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, রাস্তাঘাটে মানুষ চলাচল কমে গেছে।
শ্রমজীবী মানুষকে মাথায় কিছু না কিছু দিয়ে চলাফেরা করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন স্থানে বেড়ে গেছে বরফ মেশানো পানির শরবত । কয়েক দফায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গরমে মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়ে। শ্রমজীবী দিনমজুরসহ হাহাকার হয়ে একটু বৃষ্টির প্রার্থনা করছেন মহান আল্লাহর কাছে। তারা মনে করছেন একটু বৃষ্টিতে যেন স্বস্তি পাবে লোকজনের দেহ মন প্রান। অন্যদিকে চিকিৎসকরা বলছেন প্রচন্ড তাপের কারণে শরীর থেকে লবণ বের হয়ে যায়।
এ জন্য আক্রান্ত রোগীর খিঁচুনি হতে পারে। শেষ পর্যন্ত রোগী চেতনা হারাতে পারে। বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে এটা বেশি হতে পারে। এ জন্য যতটা সম্ভব রোদ থেকে দূরে থেকে বিভিন্ন শরবত পানীয় বেশি করে পান করা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি মাসের শেষের দিক থেকে শুরু দাবদাহ দিনের পর দিন বাড়ছে। ডাব, তরমুজ, বাঙ্গি, শসা ও খিরাসহ পানি জাতীয় ফল, কোমল পানীয়, সবজির দাম বাড়ছে হু-হু করে।