টার্গেটেড আরটি-পিসিআর টেস্টের মাধ্যমে দ্রুত গতিতে ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা হোক। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে আশংকাজনকভাবে সংক্রমণ বাড়ছে। এখনও সম্ভব হল না এটা নিশ্চিত করার যে ঐসব জেলাগুলোতে ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পরেছে কি না।পৃথিবীর ধনী ধনী সব দেশ টার্গেটেড আরটি-পিসিআর করে কমিউনিটিতে ভ্যারিয়েন্ট সার্ভাইল্যান্স করছে আর আমরা এখনও নির্ভর করছি জেনোম সিক্যুয়েন্সিংয়ের উপর। জেনোম সিক্যুয়েন্সিং একটি ধীর গতির এবং সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
সকল জানা মিউটেশনই হচ্ছে স্পাইক প্রোটিনে। ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্টের মিউটেশন কোথায় এটা এখন জানা। ঐ মিউটেশনের একটি পয়েন্টকে টার্গেট করে সিম্পল আরটি-পিসিআরের মাধ্যমেই কয়েক ঘন্টার ভেতরেই ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা সম্ভব!ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট বি.১.৬১৭ এর তিনটি সাব-টাইপ থাকলেও সবগুলো সাব-টাইপেই এল-৪৫২-আর মিউটেশনটি রয়েছে। যুক্তরাজ্যের পাবলিক হেল্থ ইংল্যান্ড আরটি-পিসিআর এর মাধ্যমে ‘এস-জিন ড্রপআউট’ নির্নয়ের মাধ্যমে দ্রুত গতিতে ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করছে। পাবলিক হেল্থ ইংল্যান্ড দেখিয়েছে এই পদ্ধতি ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করণে ৮৫ শতাংশ সেনসিটিভ।
কানাডাতে আরটি-পিসিআর এর মাধ্যমে ‘এস-জিন ড্রপআউট’ নির্ণয়ের মাধ্যমে দ্রুত গতিতে ‘ইউকে ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করেছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রেও এই একই পদ্ধতিতে কমিউনিটিতে ভ্যারিয়েন্ট সার্ভাইল্যান্স করা হয়েছে।শুধু বাংলাদেশেই এই রকম একটা স্মার্ট, সহজ এবং সস্তা পদ্ধতিতে ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে না! সেই ডিসেম্বর থেকে আমি একই কথা বলছি। কেও কর্নপাতও করছে না।
নোভেল বা অজানা মিউটেশন নির্নয়ের জন্য জেনোম সিক্যুয়েন্সিংয়ের কোন বিকল্প নেই। তবে জানা কোন মিউটেশন খোঁজার জন্য জেনোম সিক্যুয়েন্সিং না করে টার্গেটেড পিসিআর করাই যুক্তি যুক্ত। থার্মোফিশার কোম্পানী সকল ধরনের মিউটেশন ডিটেকশনের কিট তৈরী করেই রেখেছে। তারপরও আমরা হাঁটছি জটিল পথে!