ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টায় আনা অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় বিনোদন জগত। ঘটনার চার দিন পর ফেসবুক স্ট্যাটাস এবং পরে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার বর্ণনা দেন পরীমণি। তারপরই মূলত মামলা নেওয়া ও আমাসিদের গ্রেপ্তারে তৎপর হয় পুলিশ।
তবে শুরু থেকেই বোট ক্লাবে যাওয়া নিয়ে একটি নাম সামনে আসে। তা হল অমি। বন্ধু অমির সাথেই ক্লাবটিতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন এই অভিনেত্রী। আমাসিদের গ্রেপ্তারের সময়ও অমির নাম সেভাবে আলোচনায় আসেনি। এমনকি মামলাতেও আসামির নাম শুধু অমিই উল্লেখ করা হয়।
এই ঘটনায় গতকাল আসামিদের গ্রেপ্তারের পরপরই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নাসির উদ্দিন মাহমুদকে ক্লাবের নির্বাহী কমিটি থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ। সেখান থেকেই আসলে অমির পুরো নাম জানা যায়। তার নাম তুহিন সিদ্দিকী অমি। তিনিও ওই ক্লাবের সদস্য। এই অমিকেও ক্লাব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
পরীমণির দাবি, তাকে বোট ক্লাবে সুকৌশলে নিয়ে গিয়েছিলেন অমিই। বিষয়টি নাসিরের সঙ্গে পূর্বপরিকল্পনা করেই ঘটিয়েছেন অমি। তিনি যখন ক্লাবে নির্যাতিত হচ্ছিলেন তখন অমির ভূমিকায় বিস্মিত হন বলেও জানান পরী।
অমি পরীমণির কেমন বন্ধু? গতকাল রাতের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমার কস্টিউম ডিজাইনার জিমির কলেজ জীবনের বন্ধু অমি। সে হিসেবে আমার সঙ্গে দুই বছর ধরে ‘হ্যাই হ্যালো’। তবে ওই রকম ক্লোজড না আমরা। সিঙ্গাপুর ট্রেইনিং সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন অমি; এর বাইরে খুব বেশি কিছু জানি না আমি তার সম্পর্কে।
পরীমণি বলেন, ‘আসামিদের মধ্যে কেবল অমিই তার পূর্ব পরিচিত। তার উপর ‘বিশ্বাস’ রেখেই সেদিন বিরুলিয়ায় তুরাগ নদীর তীরে সেই বোট ক্লাবে গিয়েছিলাম। বোট ক্লাবে যাওয়ার পর অমির ভিন্ন চেহারা দেখে আমি নির্বাক ও বিস্মিত হই। নাসির মাহমুদের সঙ্গে অমির আগে থেকেই পরিচয় ছিল।’