বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা খালের ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ ভেঙ্গে খালে পড়েছে। এতে করে হালকা যানবাহনসহ লোকচলাচলের পাশাপাশি নদীতে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার ভোর রাতে ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়লেও কোনো হতাহত হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এলজিইডির নির্মিত ভেঙ্গে পড়া এই ব্রিজটির পাশে ঝুঁকিপূর্ণ অপর একটি কাঠের অস্থায়ী সেতু থাকলেও তাও
যেকোনো সময় ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
শরণখোলা উপজেলা সদরের রায়েন্দা ও খোন্তাকাটা দুই ইউনিয়নের লাখো মানুষের চলাচলের জন্য রায়েন্দা খালে এলজিএডির নির্মান করা এই ব্রিজটি বেশ কয়েকবছর ধরেই ঝঁকিপূর্ণ ছিল।
গত বছর উপজেলা প্রশাসন ঝঁকিপূর্ণ এই ব্রিজটি দুইদিক থেকে আটকে দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
তার পরেও মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ ওই ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করে আসছিল। গতরাত ভোর ৪টার দিকে ব্রিজটি ভেঙ্গে নদীতে পড়ে গেলেও কেউ হতাহত হয়নি।
এতেকরে হালকা যানবাহনসহ লোকচলাচলের পাশাপাশি নদীতে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
ভেঙ্গে পড়া এই ব্রিজটির পাশে ঝুঁকিপূর্ণ অপর একটি কাঠের অস্থায়ী সেতু থাকলেও তাও যেকোনো সময় ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। কাঠ ও লোহার এঙ্গেল দিয়ে তৈরি করা ব্রিজটিতে একজন কী দু’জন মানুষ উঠলেই ব্রিজটি দুলতে থাকে। দুই ইউনিয়নের লাখো মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি কংক্রিটের ঢালাই ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন রায়েন্দা ইউপি চেয়ারম্যান আছাদুজ্জামান মিলন।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাত বলেন, ব্রিজটি ঝঁকিপূর্ণ ছিল তাই রাতে ভেঙ্গে পড়েছে। এখন যত দ্রুত সম্ভব ভাঙ্গা ব্রিজটি অপসারন করে নতুন ব্রিজ নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে যাতে এলাকার মানুষ ভোগান্তিতে না হয়।
বাগেরহাট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান জানান, কয়েক বছর আগে আমরা সেতুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে মানুষ এবং যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করি। দ্রুতই ভেঙ্গে পড়া এই সেতুটি অপসারণ করা হবে। একই স্থানে নতুন করে সেতু নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে।