প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সিনেমা হল খুললেও প্রদর্শিত হচ্ছে পুরোনো সিনেমা। লোকসানের ভয়ে প্রযোজকরা নতুন সিনেমা মুক্তি দিতে নারাজ। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতারা বলছেন ভালো মানের নতুন সিনেমা মুক্তি না পেলে সারাদেশের হল সংখ্যা কমে ৫০ এর নিচে নামবে। এমন বাস্তবতায় বাংলা সিনেমার হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সুনজরের বিকল্প নেই বলে মনে করেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।
২০ আগস্ট থেকে খুলেছে দেশের প্রায় অর্ধ শতাধিক প্রেক্ষাগৃহ। দীর্ঘদিন লোকসান গুণে কিছুটা লাভের আশায় সিনেমা হল খুললেও মুক্তি পায়নি কোনো বড় বাজেটের সিনেমা।
সিনেবাজ অ্যাপস এ মুক্তি পাওয়া টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই বেশ কয়েকটি হলে চলছে তবে বেশিরভাগ হলেই চলছে পুরাতন সিনেমা।
১৬১৪ সিটের আনন্দ ছন্দ সিনেমা হলে গত শুক্রবারের বিক্রি মাত্র ৬০০০ টাকা। অথচ এই দুই হল চালাতে প্রতিদিন খরচ ২৪৯৫০ টাকা। একই চিত্র সারাদেশের।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতারা বলছেন ভালো মানের নতুন সিনেমা মুক্তি না পেলে সারাদেশের হল সংখ্যা কমে ৫০ এর নিচে নামবে। নতুন ছবি না থাকায় আগামী সপ্তাহেও চলবে পুরাতন সিনেমা। এ সংকট উত্তরণে নির্মাণ শেষ হওয়া নতুন সিনেমা মুক্তি দিতে প্রযোজকদের আহবান জানান প্রদর্শক সমিতির নেতারা।