আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ যমুনা। কিন্তু এক মাসেও বিনিয়োগ করবে কি-না তা নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে নি তারা। ইভ্যালির অডিটের চূড়ান্ত রিপোর্ট পেলে বিনিয়োগ করবে কি-না জানাবে গ্রুপটি।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) এক জরুরি ঘোষণায় এ কথা জানান যমুনা গ্রুপ পরিচালক (মার্কেটিং, সেলস অ্যান্ড অপারেশনস) ড. মোহাম্মদ আলমগীর আলম।
ঘোষণায় বলা হয়, ইভ্যালিতে যমুনা গ্রুপের বিনিয়োগের আগে ইভ্যালির গ্রাহকদের ও পণ্য সরবরাহকারীদের পাওনা বা দায় দেনা নির্ধারণের লক্ষ্যে যমুনা গ্রুপের উদ্যোগে অডিট চলছে। যেহেতু এখনো অডিট কার্যক্রম শেষ হয়নি ও অডিটের চূড়ান্ত রিপোর্ট যমুনা গ্রুপের হাতে আসেনি তাই ইভ্যালিতে বিনিয়োগের বিষয়ে যমুনা গ্রুপ এখনো চূড়ান্ত কোনো অফিশিয়াল স্টেটমেন্ট দিতে প্রস্তুত নয়। অডিট শেষ হলে যথাসময়ে যমুনা গ্রুপ তার বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত ও বিস্তারিত কর্মপদ্ধতি মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করবে।
তবে এর আগে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে যমুনা গ্রুপের পরিচালক মনিকা ইসলামকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়, ইভ্যালিতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে যমুনা গ্রুপ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনিকা ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এমন খবর আমিও দেখেছি। কিন্তু তারা কেন লিখেছে আমি জানি না। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের সিদ্ধান্ত আগের মতোই আছে। একটা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার আগে তা যাচাই-বাছাই করতে হয়। এজন্য অডিট করা হচ্ছে, চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব, তখন আপনাদের জানাব।
এর আগে গত ২৭ জুলাই যমুনা গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইভ্যালির সঙ্গে যমুনা গ্রুপের একটি পার্টনারশিপ চুক্তি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে খুব শিগগিরই ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। এরপর ধাপে ধাপে মোট এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।
সবশেষ বুধবার (২৭ আগস্ট) ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও এমডির নামে পরিচালিত সব ধরনের অ্যাকাউন্টের তথ্য ও ৫০ লাখ টাকা বা তার বেশি লেনদেনের চেক বা রশিদের কপি চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ)। সংস্থাটি ব্যাংকগুলোকে এ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়ে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।